রাজ্যের (BSK) থেকে রাজ্য সরকারের পকেটে গত এক বছরে ৭৯% বেশি রাজস্ব ঢুকেছে। এই পরিষেবাগুলি সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং দ্রুত প্রসারের ফলে সরকার আরও রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৪ সালে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের ‘ই-ওয়ালেট’ লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা, যা গত বছরের ১৬৯ কোটি টাকার তুলনায় ৭৯.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে রাজ্য সরকার এখন ৪০টি দফতরের ৩০০টিরও বেশি পরিষেবা প্রদান করছে। রাজ্যের প্রতিটি কোণে এই কেন্দ্রগুলি চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষ খুব সহজেই নিজেদের পরিষেবা নিতে পারছেন, যেমন জমি-বাড়ির খাজনা, মিউটেশন খরচ, বিদ্যুৎ বিল, লিজ এবং অন্যান্য সরকারি খরচ। বর্তমানে রাজ্যে মোট ৩৫৬১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে এবং আরও ১৪৩১টি নতুন কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কেন্দ্রগুলিতে আর্থিক লেনদেনের ফলে রাজস্ব আদায়ে বেশ উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে আর্থিক পরিষেবা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং সামাজিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে লেনদেন বেড়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে স্বাস্থ্য খাতে ৩৯% এবং শিক্ষা খাতে ৫৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির প্রভাব শুধুমাত্র রাজস্ব বৃদ্ধি নয়, বরং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানও সহজ করেছে। পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরে এই কেন্দ্রগুলিতে লেনদেনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত যেহেতু মানুষ এবার দূরবর্তী সরকারি অফিসে না গিয়ে নিজের এলাকায় থাকা কেন্দ্র থেকেই পরিষেবা পাচ্ছেন, তাঁদের সময় ও খরচ বাঁচছে।
এই সুবিধার কারণে অনেকেই দালালচক্র থেকে দূরে থাকছেন, যার ফলে সাধারণ মানুষ অধিকতর স্বস্তি পাচ্ছেন। এই অবস্থায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির প্রতি চাহিদা আরও বাড়ছে এবং রাজ্য সরকারের জন্য এটি একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা যাচ্ছে।