রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। PTI শত্রু অনুসার, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন যে প্রায় 10,000 জনকে সফলভাবে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বর্তমানে রাজ্যের দক্ষিণ ও উত্তর উভয় অঞ্চলের নয়টি জেলা জুড়ে অবস্থিত 190টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় এর ব্যবস্থা করা হয়েছে,
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের আঘাত থেকে তার চলমান পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও, নিশ্চিত করেছেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তার বাসভবন থেকে অবিরাম পরিস্থিতি তদারকি করছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন বন্যা পরিস্থিতি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ এবং সতর্কমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছেন।
রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির পরিদর্শন এর জন্য বৃহস্পতিবার রাজ্যের রাজ্যপাল জিবি আনন্দ বোস জেলাগুলিতে ভিজিট করবে বলে জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে যেখানে সিকিমের সঙ্গে রাজ্যের সীমানা দু ভাগে বিভক্ত হয়েছে সঙ্গে একটি সীমানা দিয়ে তিস্তা নদীর প্রবাহিত হচ্ছে, সেইসব এলাকাগুলিতে প্রবল বন্যার কপালে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছে বলে জানা যাচ্ছে এবং অনেকেই হয়তো হয়েছেন সর্বমোট প্রায় 40 জনের মত নিখোঁজ রয়েছে |
ইতিমধ্যে একটি বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে|এইচ কে দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকাকে পশ্চিমবঙ্গের বন্যাকবলিত এলাকায় অবিলম্বে উচ্চস্তরের অধিকারীদের একটি দল পাঠাতে বলেছিলেন। ‘নিচুতর জেলাগুলি থেকে দশ হাজার জনকে উদ্ধার করেছি এবং এইচডিআরএফ সহ এনডিআরএফ এর দলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে এবং আমি পায়ে চোট নিয়ে বাড়ি থেকে ২৪ ঘন্টা বন্যা কবলিত অঞ্চল গুলির পর্যবেক্ষণ করছি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী’
বন্যার কারণে বন্যা কবলিত এলাকা গুলি লোকেদের অভিযোগ অধিভুক্ত করার জন্য চব্বিশ ঘন্টার একটি কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী|
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের এই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে 28টি এবং দক্ষিণে 190টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।