কোচবিহারে মেডিক্যাল ইন্টার্ন কিষাণ কুমারের দেহ মর্গের বাইরে ১১ ঘণ্টা পড়ে থাকার ঘটনায় প্রশ্ন
কোচবিহারে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালের হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক মেডিক্যাল ইন্টার্ন কিষাণ কুমারের নিথর দেহ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তবে কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কোনো কারণ, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
তবে, ঘটনাটি আরও আলোচনার সৃষ্টি করেছে, যখন জানা যায় যে কিষাণ কুমারের মৃতদেহ মর্গের বাইরে প্রায় ১১ ঘণ্টা পড়ে ছিল। বুধবার রাত ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, যেখানে ইন্টার্ন কিষাণ কুমারের দেহ হস্টেলে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর কোতোয়ালি থানার পুলিশ দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহটি কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে নিয়ে যায়, এবং সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দেহটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হলেও, প্রায় রাত ২টোর পর থেকে সকালে দুপুর পর্যন্ত দেহটি অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে পড়েছিল। এই দীর্ঘ সময় ধরে দেহের অবস্থান নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেন দেহ এত দীর্ঘ সময় মর্গের বাইরে পড়ে ছিল, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই, এর ফলে দেহে পচন ধরার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
তবে, কিষাণের পরিবার থেকে এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের অধ্যক্ষ বিষয়টি জানার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেন। তিনি মর্গে গিয়ে দেহ কেন এত সময় বাইরে পড়েছিল, তা জানতে চান এবং এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অবশেষে, দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দেহটি মর্গে রাখা হয়।
এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তারা খোঁজ নিচ্ছে, কোথাও কোনো প্রক্রিয়া ভুল হয়েছিল কি না। সব মিলিয়ে, কিষাণ কুমারের দেহ এত দীর্ঘ সময় মর্গের বাইরে পড়ে থাকার দায় কার, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।