মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নিতে চলেছেন। আমেরিকার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান প্রতিটি চার বছর অন্তর ২০ জানুয়ারি বা রবিবার পড়লে ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এবার ২০ জানুয়ারি পড়েছে সোমবার, এবং এই দিন ওয়াশিংটন ডিসি-র ক্যাপিটল বিল্ডিং-এ আয়োজিত হবে ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
এই বিশাল অনুষ্ঠানটি যাতে আরও প্রভাবশালী হয়, তার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তের রাষ্ট্রনেতাদের। তবে, বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে কারণ, নরেন্দ্র মোদী—ট্রাম্পের স্বঘোষিত বন্ধু—এখনও পর্যন্ত আমন্ত্রণ পাননি। মহুয়া মৈত্র, তৃণমূলের এমপি, এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন, “আমার বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প” এখনও মোদীকে আমন্ত্রণ জানায়নি, এটা কি সত্যি?
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যিনি অপপ্রচারের পরও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। এছাড়া, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন। যদিও শি নিজে আসবেন না, তিনি একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন।
এছাড়া, আর্জেন্তিনার প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেই, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান, এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি-সহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ১৭ কোটি মার্কিন ডলারের চাঁদা সংগ্রহ করেছেন। বিশাল খরচের সঙ্গেই এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বাস্তবায়িত হবে।
শপথগ্রহণের পর, জেডি ভ্যান্স ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন, এবং পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ডানহাত উঁচু করে বাইবেলের উপর শপথ নিবেন। অনুষ্ঠান শেষে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি হেলিকপ্টারে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করবেন। নতুন প্রেসিডেন্ট ওভাল অফিসে গিয়ে সই করে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
মার্কিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি পুরো বিশ্বে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে, যা ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা-১১টার মধ্যে দেখা যাবে।