বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো প্রতিটি বাঙালির আবেগ। এই পুজো বলতে প্রথমেই আসে রাজবাড়ি বা বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো। সাবেকিয়ানা ও ঐতিহ্যের পরম্পরা আজও বর্তমান বনেদিবাড়ির পুজোগুলিতে। কিছু নিয়ম কানুনের বদল ঘটলেও প্রাচীন ঐতিহ্য সযত্নে লালিত হয়ে এই নবপ্রজন্মের হাত ধরে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বেশ কয়েকটি রাজবাড়ি বা বনেদি বাড়ির পুজো রয়েছে। প্রত্যেকের রয়েছে আলাদা আলাদা ঐতিহাসিক গুরুত্ব যথেষ্ট আলাদা। সেরকমই একটি পুজো হল মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রায় ২৪৮ বছরে পদার্পণ মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। তৎকালীন রানি জানকী এই পুজোর প্রবর্তন করেছিলেন। ইতিহাস বিজড়িত পুজোকে ঘিরে রয়েছে নানান রূপকথার গল্প। রাজবাড়ির কুলদেবতা যেহেতু মদন গোপাল জিউ। তাই বৈষ্ণব মতে হয় দুর্গাপুজো।
Read Also:- স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই স্কুলগুলোতে অনলাইনে ক্লাস, সিকিম সরকারের নির্দেশ
সন্ধিপুজোর সময় কামান দেগে জানানো হতো। এক বছর কামান দাগতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে সরকার বাহাদুর কামান দাগা বন্ধ করে।সপ্তমীর দিন ৭ মন, অষ্টমীর দিন ৮ মন, নবমীতে ৯ মন চালের ভোগ চালের ভোগ তৈরি করা হত। যদিও এখনও আর হয় না। তবে পুজোর পর খাওয়া দাওয়া আয়োজন থাকে।১০৮ টি পদ্ম সহযোগে জাঁকজমক ভাবে নিষ্ঠা ভরে পুজো হয় এই রাজবাড়ির পুজোয়।পুজোর কটা দিন রাজবাড়ির মা দুর্গাকে দেখতে ভিড় জমায় হাজার দর্শনার্থী।