কর্মসংস্থান ব্যুরো: একশো দিনের কাজ (MGNREGA) প্রকল্পের টাকা না পাওয়ার প্রতিবাদে, বাংলার গ্রামীণ শ্রমিকরা আজ সল্টলেকের বিজেপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন বছর ধরে এই প্রকল্পের বকেয়া টাকা দেননি, যার ফলে গ্রামীণ এলাকার কয়েক লক্ষ শ্রমিক পরিবার চরম সমস্যায় পড়েছে।
কেন বন্ধ হয়ে গেছে একশো দিনের কাজের টাকা?
এই বিক্ষোভের মূল দাবি ছিল, কেন কেন্দ্রীয় সরকার তিন বছর ধরে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না? গ্রামীণ শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, এই টাকা না পাওয়ার কারণে তাদের দৈনন্দিন জীবনে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার এই টাকা দেয়ার চেষ্টা করলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-কে চিঠি লিখেও কোন উত্তর পাননি।
শ্রমিকদের অবস্থান এবং প্রতিবাদ
আজ, শনিবার বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শ্রমিকরা একত্রিত হন বিজেপি অফিসের সামনে। উপস্থিত বিজেপি নেতারা অস্বস্তিতে পড়েন, এবং পরিস্থিতি সামলাতে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি শ্রমিকদের প্রতিনিধিদলকে বিজেপি অফিসে ডেপুটেশন দেওয়ার সুযোগ করে দেন।
কেন রাজ্য সরকার টাকা দিয়েছে?
একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয়নি, তখন রাজ্য সরকার গ্রামীণ শ্রমিকদের জন্য এই টাকা পরিশোধ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এভাবেই গ্রামীণ শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু, শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, বছরের পর বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে টাকা না পাওয়ার কারণে, তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি খাবারের টাকাও জোগাড় করতে সমস্যায় পড়ছেন তারা।
শ্রমিকদের ক্ষোভ এবং বিক্ষোভের জবাব
বিক্ষোভকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৭ সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে রেখেছে। রাজ্য সরকার সেই টাকা দিয়েও শ্রমিকদের জীবনযাত্রা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোন সমাধান হয়নি।
নতুন প্রতিবাদ এবং দাবি
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, এর আগে নয়াদিল্লির রাজপথে এই আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল, যেখানে একশো দিনের কাজের শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন। আজ, বিজেপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ শেষে, পাঁচজন প্রতিনিধিদল শমীক ভট্টাচার্যের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিক্ষোভকারীরা নবান্ন যাওয়ার কথা বলেছেন, এটি সরকারি দফতর নয়, বিজেপির কার্যালয়।”
শ্রমিকদের হতাশা এবং আশা
এই দীর্ঘ সময়ে, একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ থাকার কারণে, শ্রমিকরা হতাশ। তাঁদের জীবনযাত্রা এই প্রকল্পের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে, তাদের আশা, কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত এই বিষয়টি সমাধান করবে এবং গ্রামীণ শ্রমিকদের আর্থিক সঙ্কট কমাতে সহায়তা করবে।