এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিকসভা ছিল। সেই সভায় পশ্চিম বর্ধমান থেকে প্রায় তিনশোটি মিনিবাস নিয়ে গিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু বাস মালিকদের অভিযোগ, প্রায় নয় মাস কেটে গেলেও তাদের টাকা এখনও বকেয়া।
দুর্গাপুর, আসানসোল, অন্ডাল, রানিগঞ্জ থেকে মোট তিনশোটি মিনিবাস গিয়েছিল বর্ধমানে। ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কাজল দে জানান, ওই সংগঠন থেকে অন্তত ৬০টি মিনিবাস গিয়েছিল বর্ধমানে। ‘দুর্গাপুর মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক অলোক চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁদের সংগঠন থেকে অন্তত ৫০টি মিনিবাস গিয়েছিল।
দুই সম্পাদকেরই বক্তব্য, মিনিবাসের জন্য জ্বালানি তেল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মীদের খাওয়াদাওয়া এবং দিনের খরচ বাবদ প্রাপ্য টাকা এখনও পাননি। কাজল বাবু বলেন, “আমাদের প্রথমে ৬০ লিটার করে তেল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমরা তেলের পরিমাণ বাড়াতে বলায় ৭০ লিটার করে তেল দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়াদাওয়া বাবদ ৯০০ টাকা ও দিনের খরচ বাবদ ১০০০ টাকা, মিনিবাস পিছু মালিকদের মোট ১৯০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। সেই টাকা আজও আসেনি।” অলোক বাবু বলেন, “বলা হয়েছিল, দিন দশেকের মধ্যে সব মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা আর হয়নি।”
READ MORE পাবলিক সার্ভিস কমিশনে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
অন্ডালের একটি মিনিবাসের মালিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিকসভায় মিনিবাস দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও কাগজপত্র নেই। শুধু জ্বালানি তেলের রসিদ আছে। সেটাই এখন একমাত্র প্রমাণ! আমরা লগবুক দেওয়ার কথা বলেছিলাম। তা হলে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকত। আমরা কী ভাবে এখন বকেয়া টাকা দাবি করব?”
পূর্ব বর্ধমান জেলার পরিবহণ আধিকারিক গোবিন্দ নন্দী বলেন “আমি এখানে নতুন কাজে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারব না।” তবে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ফাইল ঊর্ধ্বতন দফতরের মাধ্যমে রাজ্য পরিবহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললে সমস্যার সমাধান হবে।
