সারাদিনের কাজ কর্মে আমাদের শরীরে অনেক রকমের ক্রিয়া বিক্রিয়া ঘটতে থাকে। শুধু শরীর নয়, স্ত্রী হরমোনের ভারসাম্য সঠিক ভাবে কাজ না করলে ভাল থাকে না মনও। সমস্যা খুব বেড়ে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গতি নেই। এক্ষেত্রে স্ত্রী হরমোনের ভারসাম্যের বজায় রাখার সমস্যায় নিয়মমাফিক খাওয়াদাওয়া কিংবা জীবনযাত্রার পরিবর্তনে হতে পারে উপকার।
১। অল্প পরিমাণ স্নেহ পদার্থ থাকুক খাদ্যতালিকার শুরুতেই। যাঁরা সকালে ফল খেতে পারেন না,সকালের খাবারের সঙ্গে নিয়মিত খেতে পারেন ঘি, নারকেল তেল কিংবা অর্গ্যানিক বাটার। তাঁদের ক্ষেত্রে এই টোটকা কমাতে পারে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ার সমস্যাকে।
২। অনেকেই এখন শরীর ভাল রাখতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বা সাপ্লিমেন্ট খান। বিশেষ করে হরমোনের সমস্যায় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার চল এখন প্রায়শই দেখা যায়। এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেলে ইপিএ ও ডিএইচএ-এর মতো উপাদানগুলির মাত্রা কতটা হওয়া উচিত, তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে।
৩। ঋতুচক্রের প্রথম অর্ধে নারীদেহে শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং দ্বিতীয় অর্ধে প্রজেস্টেরনের ক্ষরণ বাড়ে। তাই এই দুই হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে ঋতুচক্রের প্রথম অর্ধে তিসি ও কুমড়োর বীজ এবং দ্বিতীয় অর্ধে সূর্যমুখী বীজ ও তিল খেতে পারেন।
৪। পেট ভাল না থাকলে পুষ্টির সমস্যা হতে পারে। আর পুষ্টির সমস্যা থাকলে যা-ই খান না কেন, শরীরের উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ,পেট ভাল না থাকলে তার প্রভাব পড়ে হরমোনের ভারসাম্যের উপরেও। সেকারণেই চেষ্টা করতে হবে তেল-মশলার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।তবেই আপনি সফল হতে পারেন।
৫। মনের অবস্থার সঙ্গেও অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত থাকে এই হরমোনের ভারসাম্য। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক অবসাদ যৌন হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে দেয়। অনেক সময় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা। এতে শুধু স্ত্রী হরমোন নয়, দেখা দিতে পারে অন্যান্য হরমোনের সমস্যাও। তাই মন কেমনের দিকেও নজর রাখা খুব জরুরি।