এবছরের এই নতুন শীতে কমবেশি সবারই একই সমস্যা দেখা যায়। সর্দি লাগছে সাথে গলা ব্যাথা হচ্ছে কিংবা ঘুম থেকে উঠে ঢোক গিলতে গেলেই কাঁটার মতো কী যেন গলায় বিঁধছে।পুজোর পর থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তনের ইঙ্গিত টের পাওয়া যাচ্ছে। রাত বাড়তে থাকলে সাথে শরীরেও অনুভত হয় ঠান্ডার।
এই সময়ে প্রায় বাড়িতেই সর্দি-কাশি, গলাব্যথার মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠে ঢোক গিলতে গেলেই কাঁটার মতো কী যেন গলায় বিঁধছে। বেলা বাড়লেও জল খেতে সমস্যা হচ্ছে। প্রথমেই নুন-গরম জল দিয়ে গার্গল করুন, তবে সঙ্গে যদি কয়েকটি সহজ উপায় থাকে এই সমস্যা দুর করতে তবে খুব উপকারী হতে পারে আপনার জন্য।
তবে জেনে নিন কোন কোন ঘরোয়া উপাদানে সারবে গলাব্যথা?
1) মধু
সকালে হালকা গরম জলে বা ভেষজ চায়ে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে আরাম পাবেন।গলাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে দারুণ কার্যকরী মধু। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা গলা এবং শ্বাসনালিতে সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসকে ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম।
2) হলুদ
হলুদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জীবাণুরোধক ক্ষমতা রয়েছে। টিস্যুর প্রদাহ থেকে রক্ষা করে হলুদ।এক কাপ দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে সেই দুধ ফুটিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম গরম খান। এই হলুদ মেশানো দুধ যে কোনও সংক্রমণ বা গলাব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে খুব কার্যকর।
3) দারচিনি
দারচিনিতে রয়েছে আশ্চর্য রকমের ভেষজ গুণ। সুগন্ধি এই মশলাটির একাধিক উপকারিতা রয়েছে।বিভিন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে দারচিনি। সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে দারচিনির জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া গলাব্যথাতেও দুর্দান্ত কাজ দেয় এই মশলা। রোজকার চায়ে সামান্য দারচিনি মিশিয়ে খেলে অল্প দিনেই উপকার পাবেন।
4) লবঙ্গ
গলাব্যথা বা কাশি থেকে মুক্তি পেতে লবঙ্গ দারুণ উপকারী। একটি লবঙ্গ নিয়ে তাতে ভাল করে সৈন্ধব লবণ লাগিয়ে মুখে রাখুন। গলাব্যথা, গলা খুসখুস, কাশির সমস্যা থেকে ভীষন উপকার হবে আপনার।
5) রসুন
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে গলাব্যথা, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। এই সব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই রসুন খেয়ে থাকেন। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান। যা সংক্রমণজনিত জ্বর, ফ্লু সারাতেও দারুণ কাজ করে।