বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ঘাড়, কোমরে ব্যথা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বয়স বাড়লেই বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। বাতের ব্যথা ডাক্তারি ভাষায় আর্থরাইটিস নামে পরিচিত। শুধু হাঁটু বা কোমর নয়, এর রোগের ফলে আপনার আঙুলও বেঁকে যেতে পারে এই বাতের ব্যথায়। কিন্তু আপনি জয়েন্টের ব্যথায় বেশি ভোগেন, ওজন কমানো শুরু করুন। আর্থরাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ওজন কমানো জরুরি। এতে গাঁটে কম চাপ পড়ে এবং ব্যথা ও প্রদাহ কমে।
গবেষনায় দেখা গেছে আর্থরাইটিসের সমস্যায় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও রয়েছে। এসব মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচতেও ওজন কমানো দরকার। আর্থরাইটিসের সমস্যায় ওজনকে বশে রাখা কতটা জরুরি, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রদাহ রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, সোরিয়াটিক আর্থরাইটিসের মতো একাধিক অটোইমিউন ডিসঅর্ডার তৈরি করতে পারে। এগুলো সাধারণ ব্যথা-যন্ত্রণার থেকেও কষ্টকর। ওজন কমালে শরীরে জমে থাকা চর্বি গলতে শুরু করে, এতে প্রদাহ কমে এবং আর্থরাইটিসের ব্যথা-যন্ত্রণাও কমতে থাকে।
ওজন কমলে আপনার গাঁটের কার্যকারিতাও উন্নত হয়। চিকিৎসকদের মতে, ধীর বা ব্রিস্ক ওয়াকিং আপনার গাঁটের ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
মাত্র ১০ শতাংশ শরীরের ওজন কমিয়ে আপনি আর্থরাইটিসের অর্ধেক ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনি যত বেশি ওজন কমাবেন, ব্যথাও কমবে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব অস্টিওআর্থরাইটিসের রোগীরা সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কমিয়েছেন, তাঁদের হাঁটুর ব্যথাও কমেছে।