উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়ালে অবস্থিত ভারতের প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যান ঐতিহ্যবাহী জিম করবেটে তড়িঘড়ি তৈরি করা হল পশুদের আইসোলেশন ওয়ার্ড। ‘জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক , ভারতের বন্যপ্রাণী প্রেমীদের জন্য স্বর্গ। এই অভয়ারণ্য সত্যিকারের স্বর্গের মতো এখানে গেলে আর আপনার বাড়ি ফিরতে ইচ্ছা করবে না।
১৯৩৫ সালে এই জঙ্গলে ঘেরা এলাকাকে জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি দিয়ে নাম রাখা হয় হেইলি জাতীয় উদ্যান। ১৯৫৬ সালে বিখ্যাত শিকারি এডওয়ার্ড জেমস করবেটের নামে নামকরণ হয় জিম করবেট জাতীয় উদ্যান। ভারতের প্রথম জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতিও জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের মাথাতেই। ৫২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জু়ড়ে এই জাতীয় উদ্যানে ২৫২টি বাঘের বসবাস। এ ছাড়াও হাতি, চিতাবাঘ, নীলগাই, সম্বরের দেখা মেলে এই জাতীয় উদ্যানে।
Read also: জলজীবন মিশনে রাজ্যকে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠালো কেন্দ্র
করবেটের জঙ্গলে প্রায় ৫৮০ প্রজাতির পাখি আছে। তাদের মধ্যে দুর্লভ দুধরাজ অনেক দেখেছি। জঙ্গলের চিরকালীন নিয়মে পুরুষ পাখি দারুণ দেখতে হয় মহিলা পাখির থেকে। তার দুধ সাদা রং, পেটের দিকে কালো ও লম্বা ফিতের মত সাদা কালোয় ডোরা কাটা লেজ। দুধরাজ যখন উড়ে যায় তার লম্বা লেজ দুলতে দুলতে যায়। এছাড়া দেখেছি প্রচুর ওয়াগটেইল, ম্যাগপাই, নানান ধরনের মাছরাঙা, ঈগল ইত্যাদি। চারদিকের জমাট বাঁধা অন্ধকারের রহস্যময়তা যেন আরো বেড়ে চলে জঙ্গলের বিচিত্র শব্দে।