আজ থেকে শুরু হল দেবীপক্ষের সূচনা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু হয় এই মহালয়া তিথিকে কেন্দ্র করে। তবে পুরাণ ও বিভিন্ন মহাকাব্যে বারবার এই মহালয়া তিথিটি ফিরে ফিরে এসেছে।
পুরাণ মতে মহিষাসুর তাঁর ধ্যান ও পূজার মাধ্যমে প্রজাপতি ব্রহ্মার থেকে বর লাভ করে। সেই বরে কোন পুরুষ তাকে হত্যা করতে পারবে বলা হয়। সে কেবল পরাজিত হবে এক নারীর কাছেই। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবলোক ভীত, অতিষ্ঠ তখন ব্রহ্মা বিষ্ণু ও মহেশ্বর মিলে তৈরি করলেন এক নারী শক্তি। মহামায়াই দেবী দুর্গা রূপে অবতীর্ণ হন। তাঁকে সমস্ত দেব অস্ত্র এবং অলঙ্কার দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। দেবী দুর্গা যুদ্ধে পরাস্ত করেন মহিষাসুরকে।
পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে এই দিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়। তবে এই দিনটির কথা পুরাণে নানাভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। নানা প্রসঙ্গে মহালয়া তিথির তর্পণের কথা ফুটে উঠেছে পুরাণশাস্ত্রে।
Read More সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনে সোমবার কলকাতায় আসছেন শাহ
মহাভারতে দেখা গিয়েছে কর্ণের অবস্থান। স্বর্গে থাকাকালীন তাকে কেবল সোনা এবং মণি রত্ন দেওয়া হতো। তিনি কখনই তাঁর পিতৃপুরুষকে জল বা খাবার খেতে দেননি। কেবল সোনা দান করেছেন। তাই এমন ঘটনায় কর্ণ নিজের ভুল বুঝতে পারেন। মৃত্যুর পর আবার তিনি মর্ত্যে ফেরত আসেন এবং ভুল সংশোধন করেন।
অন্যদিকে রামায়ণে রয়েছে দেবীর অকাল বোধনের প্রসঙ্গ। অকালে কোনও দেবদেবীর পুজো করতে হলে আগে ইষ্ট দেবতার পুজো এবং প্রয়াত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে হয়। রাম সেই প্রথাই পালন করেছিলেন। তিনি রাবণকে বধ করার জন্য দেবী দুর্গার আশীর্বাদ চেয়েছিলেন।