মহালয়া মানেই বাঙালির আবেগ। আমরা যতই উন্নত হই না কেন এই দিনটা যেন বারবার আমাদের আর্কষন করে। আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে সারাদিন মোবাইল,ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বছরের এই একটা দিনে রেডিওর খোঁজ সবার। মহালয়ার ভোরে চারটেয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী শুনতে মুখিয়ে থাকে সকলে।
মহালয়া মানেই পিতৃপক্ষের অবসান মাতৃপক্ষের সূচনা। বাঙালিও প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেয় দূর্গাবরনের। দুর্গাপুজো শুধুমাত্র বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব নয়, বাঙালির আত্মার সাথে জড়িত। তাই তো মহালয়ার গুরুত্ব বাঙালিরা তাঁর জীবনের শেষদিন অবধি মনে রাখে।
Read More বেল পাতায় একগুচ্ছ উপকারী উপাদান রয়েছে : আসুন জেনে নেওয়া যাক
আকাশবাণী কলকাতার মহিষাসুরমর্দিনী নামটির সঙ্গে যে নামটি একেবারে একাত্ম হয়ে গিয়েছে তিনি হলেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। মহালয়ার ভোরে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্রে আকাশবাণী স্টুডিওতে উপস্থিত হওয়া যেন একটি মিথে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
মহিষাসুরমর্দিনীর এই গোটা অনুষ্ঠানটি রচনার দায়িত্বে ছিলেন বাণীকুমার। প্রায় দেড় ঘন্টার এই অনুষ্ঠানটির ভাষ্য থেকে গান রচনার গুরুদায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই। তিনি একাই সামলেছিলেন সবটা। এমনকি গোটা অনুষ্ঠানে চণ্ডীপাঠও করেন তিনি।
মহালয়ার অনুষ্ঠানে ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’ গানটির মাহাত্ম্যই আলাদা।
সম্ভবত এই গানটি সবচেয়ে জনপ্রিয়ও। তবে পরবর্তীকালে অনেক শিল্পী এই গানটি গাইলেও সুপ্রীতি ঘোষের সেই গায়কী আজও শ্রোতারা ভুলতে পারেননি।