বিশ্ব হেরিটেজের তকমা পেল শান্তিনিকেতন

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পেল। নয়া পালক জুড়ল বাউল, লালমাটির দেশ , কবিগুরুর স্বপ্নের শান্তিনিকেতনে। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটসের তরফে শান্তিনিকেতনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। অবশেষে সরকারি ভাবে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেল শান্তিনিকেতন।

🔴BREAKING!

New inscription on the @UNESCO #WorldHeritage List: Santiniketan, #India 🇮🇳. Congratulations! 👏👏

➡️ https://t.co/69Xvi4BtYv #45WHC pic.twitter.com/6RAVmNGXXq— UNESCO 🏛️ #Education #Sciences #Culture 🇺🇳 (@UNESCO) September 17, 2023

জ্ঞান, সংস্কৃতি, শিল্পের তীর্থস্থান এই শান্তিনিকেতন।১৭ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে আসেন। ১৯০১ সালে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে একটি ব্রহ্মাচার্জ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে মানবতার ঐক্যকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়’। ১৮৬৩ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার ভুবন মোহন সিংহের কাছ থেকে দুটি ছাতিম গাছসহ ২০ একর জমি ইজারায় কিনেছিলেন। তিনি একটি অতিথিশালা তৈরি করেছিলেন এখানে। নাম রেখেছিল ‘শান্তিনিকেতন’।দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা নির্মিত একটি আশ্রম ছিল এখানে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে যে কেউ এসে এক পরম ঈশ্বরের ধ্যানে আসতেন শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীর পুরাতত্ত্ব বিভাগ এর কাজ প্রায় এক বছর ধরে চলার পর নবরূপে বিশ্বভারতীকে উপস্থাপনা করে কর্তৃপক্ষ। সংরক্ষণ ও সংস্কারের পরিকল্পনা প্রয়োগকে প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরাই ছিল বিশ্বভারতীর প্রধান উদ্দেশ্য। অবশেষে বিশ্বভারতী মুকুটে চাপল সেই স্বীকৃতি।

Read also: সানির ‘গদর ২’-এর কাছে অবশেষে হার মানল ‘জওয়ান’

গত মে’তে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল যে সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সভায় শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সেইমতো আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসংঘের সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউনেসকো। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বিরাজমান ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের অভিমুখ এবং ইউরোপীয় আধুনিকতা থেকে আলাদা শিক্ষার অভিমুখ শিখিয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Comment