কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে শিয়ালদহ ডিভিশন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে যাতে যাত্রীরা নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাত্রা করতে পারেন। ইস্টার্ন রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (PCCM) ডঃ উদয় শঙ্কর ঝা এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা কাকদ্বীপে একটি টিকিট চেকিং ড্রাইভের আয়োজন করেছেন। এর লক্ষ্য ছিল যাত্রীদের বৈধ টিকিটের সাথে সুগম যাত্রা নিশ্চিত করা এবং গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ভ্রমণকারীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা অভিজ্ঞতা প্রদান।
শিয়ালদহ ডিভিশন এই উদ্যোগে বেশ কিছু যাত্রীবান্ধব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে। স্টেশনের দুই পাশে অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যাতে দীর্ঘ লাইন এড়ানো যায়। এছাড়া মোবাইল আনরিজার্ভড টিকেটিং সিস্টেম (M-UTS) চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বুকিং ক্লার্করা সরাসরি যাত্রীদের কাছে গিয়ে টিকিট ইস্যু করতে পারবেন। ফলে যাত্রীদের আর লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া, তীর্থযাত্রীদের জন্য আধুনিক টয়লেটও চালু করা হয়েছে, পাশাপাশি সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্সের একটি দলও স্টেশনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
স্টেশনে সুরক্ষার জন্য আরপিএফ এবং জিআরপি কর্মীরা মোতায়েন করা হয়েছে, এবং প্রাঙ্গনে নজরদারির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিভিল ভলান্টিয়াররা যাত্রীদের বোর্ডিং এবং ডি-বোর্ডিং এর সময় সহায়তা করছেন, যাতে যাত্রীরা সুশৃঙ্খলভাবে ট্রেনে উঠতে এবং নামতে পারেন।
শিয়ালদহ ডিভিশনের এই উদ্যোগের ফলে গত ১৪ জানুয়ারি, নামখানা এবং কাকদ্বীপ স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা এবং টিকিট বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় আয় ১৩১.৫% বৃদ্ধি পেয়ে ৮.৩ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে। শিয়ালদহ ডিভিশনের আয়ও ৫২.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ৪.২ লক্ষ থেকে ৮.৩ লক্ষ টাকা হয়েছে।
প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ডঃ উদয় শঙ্কর ঝা এবং ডিআরএম শিয়ালদহ শ্রী দীপক নিগম এই সমস্ত ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, যাতে যাত্রীরা সবচেয়ে ভালো পরিষেবা পান। ডিআরএম শিয়ালদহ শ্রী দীপক নিগম বলেছেন, “আমরা সমস্ত যাত্রীদের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”