সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন সিকিম। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির নেপথ্যে সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তিস্তার হড়পা বানে দুভাগ হয়ে গিয়েছে প্রধান জাতীয় সড়ক। সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন সিকিম। তবে বিধ্বংসী বানের পিছনে রয়েছে মাথাভাঙ্গা বৃষ্টি নাকি অন্য কিছু?
ভূতত্ত্ববিদ ও আবহাওয়াবিদরা মনে করছে শুধু মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে এমনটা হওয়ার কথা নয়। নেপালের মঙ্গলবারের ভূমিকম্পও থাকতে পারে এর পিছনে। ভূমিকম্পের কারণে দক্ষিণ লোনাক হ্রদের জল বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা অববাহিকা বানে ভেসে যায়।
হ্রদের জল এতটাই ফুলে ওঠে যে চুয়াঙথাম বাঁধও ভেঙে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এটিই সিকিমের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ছিল। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, ১৬৮ হেক্টর জমি জুড়ে থাকা হ্রদের আয়তন কমে ৬০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। বাকি ১০০ হেক্টরের জলই বাঁধ ভেঙে বিধ্বংসী বান ডেকেছে। যদিও এই বিষয় নিশ্চিত নয়।