কোলেস্টেরলের সমস্যায় এখন ভুগছেন প্রত্যেক ঘরে ঘরেই । কারও যদি ডায়াবেটিস থাকে সেক্ষেত্রে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম বলতে আপনাকে আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকার পরিবর্তন করতে হবে । আপনাকে avoid করতে হবে চর্বিজাতীয় খাবার , চিপস , ভাজাভুজি , শর্করা যুক্ত পানীয় , সেইসঙ্গে রোজকার তালিকায় কিছু পানীয় রাখলেও এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি কমবে তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির শারীরিক বিপাক হারের উপর । কোলেস্টেরল তৈরী হয় মূলত – ট্রাইগ্লিসারাইড , ট্রু কোলেস্টেরল , এইচ ডি এল , এল ডি এল , মিলেই। অনেকের ধারণা চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কোলেস্টরল এর মাত্রা বেড়ে গেলে তা রক্ত বাহকে জমা হয় এবং রক্ত বাহকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। ফলে রক্ত চলাচলে বাঘ্যাত ঘটে ও রক্তের উচ্চচাপ বেড়ে যায়। এর ফলে হৃদ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায় অনেকটা।
জেনে নিন খাবারের তালিকায় রোজ কোন পানীয় রাখলে কোলেস্টেরল বাড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
1. গ্রিন টি : গ্রিন টি তে প্রচুর পরিমাণে ‘ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ‘ থাকাতে ‘ ক্যাটাচিন ‘ শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে । গবেষণায় জানা গিয়েছে যে , 12 সপ্তাহ ধরে নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরে লাইপোপ্রোটিন এর মাত্রা প্রায় 16% কমে যায়।
Read also: সজনে পাতা বাতের ব্যথা থেকে ডায়াবেটিস কমায়
2. টম্যাটো রস : রোজ হাফ কাপ টম্যাটোর রস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব । টম্যাটো তে লাইকোপিন উপস্থিত থাকায় শরীরে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে ও লাইপোপ্রোটিন এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ।এতে নিয়াসিন ও কোলেস্টেরল কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ফাইবার থাকে ।
3 . সয়া দুধ : শুধু কোলেস্টেরল নয় , হৃদ রোগের আক্রমণ কমাতেও সাহায্য করে এই পানীয়। এই দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এর পরিমান খুবই কম থাকে । দীর্ঘদিন ধরে হাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগতে থাকলে শরীর সুস্থ রাখতে রোজকার তালিকায় যুক্ত করতে পারেন এই পানীয় টি।
4 . ওটসের দুধে : প্রত্যেক দিনের খাবারের তালিকায় যদি আপনি ওটসের দূধ যুক্ত করেন তবে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে । ওটসের দুধে রয়েছে বিটা গ্লুকোন । তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
5 . রেড ওয়াইন : কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে রেড ওয়াইন ছাড়া অন্যান্য Alchohol থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা । এতে অনেক ধরনের অ্যান্টি – অক্সিডেন্ট থাকে ।পরিমাণ মতো রেড ওয়াইন খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপদ সীমার নিচে থাকে । নিয়ম মেনে খেলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষাও করে ।