অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি ও মিডিয়া গুগল ক্লাউড স্টোরেজে ব্যাকআপ থাকে। হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ও মিডিয়া ২০১৮ সাল থেকে গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করা যায়। এজন্য গুগল অ্যাকাউন্টের স্টোরেজ দখল করে না হোয়াটসঅ্যাপ। তবে আগামী মাসে এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন ব্যাকআপ করা ডেটা গুগল অ্যাকাউন্টের জায়গা দখল করবে।
প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ দেয় গুগল। এই স্টোরেজ ইমেইল, গুগল ড্রাইভ ও গুগল ফটোজসহ গুগলের সব পণ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা যদি এই স্টোরেজ কেটে নেয় তাহলে অন্যান্য মিডিয়া রাখার জন্য গুগল ড্রাইভের জায়গা কমে যাবে। আর গুগলের সাবস্ক্রিপশন কেনার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাবে। অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্ট পেজে এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেয় গুগল। গুগল অ্যাকাউন্টে যতক্ষণ জায়গা খালি থাকবে ততক্ষণ হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা ড্রাইভে ব্যাকআপ হবে। স্টোরেজ শেষ হয়ে গেলে এই ব্যাকআপ বন্ধ হয়ে যাবে। অপ্রয়োজনীয় ফাইল ফেলে দিয়ে গুগল অ্যাকাউন্টের স্টোরেজ খালি করা যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপের বেটা ভার্সনের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা আগামী মাস থেকে এই পরিবর্তন দেখতে পারবে। সকল অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ২০২৪ সাল থেকে ধীরে ধীরে এই পরিবর্তন আনা হবে।হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ও মিডিয়া ইতিমধ্যেই অ্যাপলের ক্লাউড স্টোরেজের জায়গা দখল করে ৷ আইওএসে মাত্র ৫ জিবি ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজ পাওয়া যায়। এদিকে গুগলের ১৫ জিবি স্টোরেজ শেষ হলে অতিরিক্ত স্টোরেজের জন্য সাবস্ক্রিপশন কিনতে হয়। গুগলের স্টোরেজ বাড়াতে প্রতি মাসে ১০০ জিবির জন্য ১৫০ টাকা, ২০০ জিবির জন্য ২৫০ টাকা ও ২ টিবি স্টোরেজের জন্য ৮০০ টাকা খরচ করতে হয়। গুগলের স্টোরেজ বাড়াতে বড় ফাইলগুলো ডিলিট করা যেতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপেরও বড় মিডিয়া ফাইলগুলো ডিলিট করে স্টোরেজ খালি করা যায়। ফলে গুগল অ্যাকাউন্টের স্টোরেজও খালি হবে।
Read More অসৎ কাজে আপনার আধার কার্ড ব্যবহার হচ্ছে কিনা জেনে নিন এই পদ্ধতিতে
গুগল বলেছে, ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এই নতুন পরিবর্তন আসবে। তবে ব্যবসায়িক বা কোনো স্কুলের অ্যাকাউন্টে এই পরিবর্তন আপাতত আসবে না। এ বছরের শুরুতে মেটা বলেছে, কোনো ব্যাকআপ বা ক্লাউড সার্ভিস ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ব্যবহারকারীর পুরোনো ফোনের চ্যাট হিস্টরি ও মিডিয়া নতুন ফোনে নেওয়া যাবে। শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্মটির কিউআর কোড স্ক্যান করলে হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা নতুন ফোনে নেওয়া যাবে।
গত আগস্টে গ্রাহকদের তথ্য নিরাপদ রাখার জন্য ‘ডার্ক ওয়েব রিপোর্ট ফিচার’ চালু করে গুগল। এর মাধ্যমে জিমেইল অ্যাড্রেস, ফোন নম্বর, অ্যাড্রেস ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হয়েছে কিনা তা দেখা যাবে। গ্রাহকেরা কীভাবে অনলাইন ডেটা রক্ষা করতে পারবে সে বিষয়ে এই ফিচার পরামর্শ দেবে।