বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা ফেরত চেয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। আর সেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষও করলেন উপাচার্য। চিঠিতে উপাচার্য বলেন ‘নিজের চোখ দিয়ে বাস্তব না দেখে, মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখছেন’। আর চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে লাগানো ফলকের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। আবার শাসকদলের একাধিক ব্যক্তিত্বদের গ্রেফতার নিয়েও লেখেন উপাচার্য।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পায়। আর তার পরই পূর্ত দফতরের কাছে থেকে উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা বিশ্বভারতীকে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মাঝে আরো একবার চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আর এটি মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা উপাচার্যের তৃতীয় চিঠিl
চিঠিতে উপাচার্য লেখেন হয়েছে, “আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন।” শুধু তাই নয়, রাজ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ এবং তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
Read More হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পরেশ অধিকারীর ছেলের
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাবার পর যে ফলক বসানো হয় তাতে রবীন্দ্রনাথের নাম না থাকায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনের ডাকও দিয়েছিলেন তিনি। এর পর শান্তিনিকেতন রাস্তার ধারে কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে মঞ্চ তৈরি ধরনায় বসেছে তৃণমূল।
এই চিঠি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেছেন, “চিঠির ভাষা কী আছে জানি না। বর্তমান উপাচার্য এমন ভাব দেখাচ্ছেন, যেন সবকিছু তাঁর নিজস্ব। আমরা চাই বিশ্বভারতী নিজের ঐতিহ্য নিয়ে চলুক। কিন্তু উনি যেভাবে চলছেন তাতে বিশ্বভারতী থেকে রবি ঠাকুরকে মুছতে চাইছেন। এটা নিয়েই আমাদের আপত্তি।” তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই নিয়ে বলেন, “বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভাষা এটা হতে পারে না।”
এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “রবীন্দ্র আদর্শের সঙ্গে যাঁর কোনও সম্পর্ক নেই, তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্য হয়েছেন। দিল্লির নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই এই পদ পেয়েছেন। এটা খুবই বিপজ্জনক। এটা আমাদের রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে কখনই যায় না। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি চিঠি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে আমরা সহমত কি না, সেটা বড় কথা নয়। আমার দাবি, ওই ফলক থেকে প্রধানমন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়া উচিত। এই উপাচার্য কাউকে মানছেন না। সীমা লঙ্ঘন করে চলছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।