বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা বিবেক ওবেরয় এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন-এর সম্পর্ক একসময় বলিউডের শীর্ষ চর্চার বিষয় ছিল। ২০০৩ সালে ‘কিউ হো গায়া না’ ছবির সেটে তাদের প্রেমের শুরু হয়েছিল, যা প্রায় দুই বছর ধরে চলেছিল। কিন্তু সম্পর্কের এই যাত্রা শেষ হয়ে যায় ২০০৫ সালে। ঐশ্বরিয়ার প্রাক্তন প্রেমিক সালমান খান-এর হুমকি এবং সম্পর্কের নানা জটিলতায় বিবেকের জীবনে এক কঠিন সময় চলে আসে।
সম্পর্ক ভাঙার পর শিখেছেন জীবনের নতুন পাঠ
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর, বিবেক বলেন, তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে মন খারাপের মধ্যে ছিলেন। সেই কঠিন সময়ে, তিনি অনুভব করেছিলেন, সম্পর্কের ব্যর্থতার পর তার জীবনে কোনো পরিবর্তন হবে না। বিবেক বলেছিলেন, ‘এমনকি আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আর কোনোদিন কোনো সম্পর্ক জড়াব না।’
Read Also: ব্যাংক ডাকাতির গল্প নিয়ে যেসব সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ
তবে সময়ের সাথে বিবেক নিজেকে বদলে ফেলেন। তিনি তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা আলভার সাথে জীবনের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি লাভ করেন এবং আবার সম্পর্কের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে।
প্রেমের পরিণতি
২০০৫ সালে ঐশ্বরিয়া রাই-এর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর, ২০১০ সালে বিবেক প্রিয়াঙ্কা আলভার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছে। বিবেক জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর উপস্থিতিই তাকে নতুন করে জীবনকে মূল্যায়ন করতে শিখিয়েছে।
Read Also: সচেত-পরম্পরা প্রথমবার বাবা-মা, পুত্র সন্তানের জন্মে খুশির হাওয়া
ঐশ্বরিয়া ও বিবেকের সম্পর্ক
ঐশ্বরিয়া এবং বিবেকের সম্পর্ক নিয়ে বলিউডে নানা গুঞ্জন ছিল। বিবেক কখনোই এই সম্পর্কের বিশদ বিবরণ দেননি, তবে তিনি প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন, সালমান খান তাকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন, যা সম্পর্কের অবসানের অন্যতম কারণ ছিল।
জীবন বদলের গল্প
যদিও বিবেক তার অতীত সম্পর্কের প্রসঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী নন, কিন্তু তিনি তার জীবনের চলমান পরিবর্তন ও শিক্ষা শেয়ার করেছেন। বিবেক জানান, সম্পর্কের ভাঙনের পর, নিজের প্রতি প্রিয়াঙ্কার ভালোবাসা এবং সহানুভূতির কারণে তিনি জীবনের নতুন পথ খুঁজে পেয়েছেন