নতুন বছরের শুরুতেই শীতের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং নিম্নচাপ। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে যখন শীতল হাওয়ার জাদু শীতপ্রেমীদের আনন্দে ভাসাচ্ছিল, তখনই এই দুই আবহাওয়ার প্রভাব শীতের মেজাজে একটা বিরতি এনে দিলো। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে যতক্ষণ না পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পুরোপুরি কাটছে, ততদিন পর্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়া অনুভূত হবে না।
অপরদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তরের হাওয়ার বদলে সাগর থেকে উষ্ণ পূবালী বাতাস ঢুকছে, যা শীতপ্রেমীদের জন্য একদম সুখকর নয়।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া ছিল কিছুটা উষ্ণ। আজও কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় দুই ডিগ্রি বেশি রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা আরও দুই থেকে চার ডিগ্রি বাড়তে পারে। তবে চিন্তা এটুকু যে, কিছুদিন পর আবার তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া:
আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় শুকনো আবহাওয়া বজায় থাকবে। কোথাও কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে কুয়াশার কারণে কিছু সমস্যা হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের মতে, তাপমাত্রা বাড়বে, তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো, বুধবার থেকে পারদ নামতে শুরু করবে। তখন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলাতে ঘন কুয়াশার প্রবণতা থাকতে পারে, আর বাকি জেলাগুলিতে হালকা কুয়াশা দেখা যাবে।
উত্তরবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া:
উত্তরবঙ্গেও দক্ষিণবঙ্গের মতো শুকনো আবহাওয়া বিরাজ করবে। তবে আকাশে কিছুটা আংশিক মেঘ থাকতে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে মঙ্গলবার বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। রাতের দিকে, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের উঁচু এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবারও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তরের কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিন দিন পর উত্তরের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।