প্রত্যাশা মতো বুধবার সন্ধ্যায় লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হল। লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বুধবার সংসদের নিম্ন কক্ষে দিনভর চলে বিতর্ক। ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৪৫৪টি। বিপক্ষে ভোট দেন মাত্র দু’জন সাংসদ। ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই- ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (এআইএমআইএম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং তাঁর দলেরই সাংসদ ইমতিয়াজ জলিল।
দীর্ঘ ২৭ বছর পরে অবশেষে সংসদের নিম্নকক্ষ স্বীকৃতি দিল মহিলা সংরক্ষণ বিলকে। ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে লোকসভায় এই বিল পেশ করেছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী এম থাম্বিদুরাই। কিন্তু সেই বিলের চরম বিরোধিতা করেন আরজেডির এক সাংসদ। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উদ্যোগে, ২০০৮ সালে রাজ্যসভায় ওই বিল পাশ করানোর চেষ্টা হয়। সেবারেও প্রবল আপত্তি জানায় আরজেডি এবং সমাজবাদী পার্টি।
Lok Sabha passes Women’s Reservation Bill granting 33% seats to women in Lok Sabha and state legislative assemblies
454 MPs vote in favour of the bill, 2 MPs vote against it pic.twitter.com/NTJz449MRX— ANI (@ANI) September 20, 2023
২০২৩ সালে মোদি সরকার ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনয়ম’ বিলকে কার্যকরী করেন। এই বিল প্রসঙ্গে সোনিয়া গান্ধি বলেন মহিলা সংরক্ষণ বিল আদতে রাজীব গান্ধির ‘স্বপ্নের প্রোজেক্ট’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘সাধারণ, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি – তিনটি বিভাগেই মহিলাদের সংরক্ষণের সুবিধা দেবে এই বিলটি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর জনগণনা এবং লোকসভা ও বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাসের পরই বিলটি বাস্তবায়ন করা হবে।মহিলা সংরক্ষণ বিলের মাধ্যমে দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নীতি নির্ধারণে মহিলাদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত হবে