২০২৫ সালে ISRO (Indian Space Research Organisation) একটি বিশেষ মিশন শুরু করতে চলেছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। জানলে অবাক হবেন, নতুন বছরেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা পৃথিবী থেকে আকাশে এক নতুন চমক দিতে যাচ্ছে। মার্চ মাসে এটি চালু হতে পারে, এবং এর নামও ইতোমধ্যে সকলের নজর কেড়েছে – NASA ISRO Synthetic Aperture Radar (NISAR)।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্যাটেলাইট
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ISRO এবং NASA যৌথভাবে এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে, এবং এর উৎক্ষেপণের খরচ হবে ১২,৫০৫ কোটি টাকা। এটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্যাটেলাইট। যদিও এটি মহাকাশে উৎক্ষেপিত হলে, এটি পৃথিবীর জমির প্রতি ইঞ্চি স্ক্যান করবে প্রতি ১২ দিনে এবং একে ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস’ দেওয়ার জন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
NISAR স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা
NISAR স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের ব্যাঘাত এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করবে। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে, যার মাধ্যমে উদ্ধার কাজ এবং অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে। তবে এর কার্যকারিতার পরিধি শুধু আবহাওয়া নয়, এটি মহাকাশ গবেষণায় নতুন একটি মাইলফলক তৈরি করবে।
NISAR স্যাটেলাইটের বিস্তারিত তথ্য
ISRO জানিয়েছে, NISAR স্যাটেলাইটের ওজন হবে ২ হাজার ৬০০ কেজি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে NASA এবং ISRO এই মিশনে একসঙ্গে কাজ করার জন্য অংশীদারিত্বে প্রবেশ করে। প্রথমে ২০২৪ সালে উৎক্ষেপণ করা হবে বলে আশা করা হয়েছিল, তবে করোনা মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়। তবে এবার ২০২৫ সালে উৎক্ষেপণ হতে চলেছে। NASA এই মিশনের জন্য এল-ব্যান্ড সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার, যোগাযোগ সাবসিস্টেম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সরবরাহ করছে, এবং ISRO মহাকাশযান, এস-ব্যান্ড রাডার, লঞ্চ ভেহিকল ও সংশ্লিষ্ট পরিষেবা সরবরাহ করছে।
ইসরো-র বিশেষ লঞ্চ ভেহিকল
এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য ISRO-এর জিএসএলভি-এমকে২ রকেট ব্যবহার করা হবে। সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে এটি উৎক্ষেপিত হবে। এই স্যাটেলাইটে দুটি রাডার সিস্টেম থাকবে – এল-ব্যান্ড এবং এস-ব্যান্ড। এল-ব্যান্ড রাডার ছোট পৃষ্ঠের গতিবিধি সনাক্ত করতে সক্ষম, এবং এস-ব্যান্ড রাডার চিত্রের রেজোলিউশন বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হবে।