বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষত যাঁরা স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন বা সদ্য পাশ করে চাকরির খোঁজে রয়েছেন, তাঁদের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সফল হতে গেলে সঠিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার জানিয়েছেন কী ভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।
১. পছন্দকে প্রাধান্য দিন
ছোটবেলা থেকেই আপনার কোন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ রয়েছে, তা খুঁজে বের করুন। সেই পছন্দকেই পেশায় রূপান্তর করার চেষ্টা করুন। যেমন, যদি আপনার আঁকার প্রতি ঝোঁক থাকে, তবে পড়াশোনার পাশাপাশি একজন পেশাদার শিল্পী হয়ে ওঠার পথে এগিয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কোর্স এবং কাজের সুযোগগুলো আগে থেকে চিন্তা করে নিতে হবে।
Read Also: মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও নকল রুখতে নতুন নিয়মাবলি, পর্ষদের উদ্যোগ
২. দক্ষতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
সব সময় পছন্দের পেশায় প্রবেশ সম্ভব নাও হতে পারে। তখন দক্ষতার উপর জোর দিতে হবে। যেমন, যদি আপনার টাইপিং দক্ষতা ভাল হয় এবং ব্যাকরণে পারদর্শিতা থাকে, তবে কপিরাইটিং, কপি এডিটিং বা প্রুফ রিডিংয়ের মতো কাজ করতে পারেন। আবার কথা বলার দক্ষতা থাকলে পাবলিক রিলেশনশিপ অফিসার বা কনসালট্যান্ট হওয়ার সুযোগ খুঁজতে পারেন।
৩. সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষ হতে হবে
পড়াশোনা এবং চাকরির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য সময়কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে। কোন কাজ কখন করবেন তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার। কাজের তালিকা বা নোট তৈরি করলে সময় নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমবে এবং কাজ সম্পন্ন করার হার বাড়বে।
Read Also: WBCS পরীক্ষার প্যাটার্নে বড়ো পরিবর্তন! পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
৪. শর্টকার্ট এড়িয়ে চলুন
কোনও পেশাগত সাফল্য রাতারাতি আসে না। শর্টকার্ট পথ বেছে নিলে তা অস্থায়ী হতে পারে এবং বিপদের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। ধৈর্য এবং সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করা সাফল্যের একমাত্র উপায়। তাই সাময়িক সাফল্যের জন্য ঝুঁকি নেবেন না।
৫. শুরুতে বাধা আসবেই, ভেঙে পড়বেন না
পড়াশোনার সঙ্গে চাকরি করতে গেলে প্রথম দিকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তবে, ভয় পেয়ে থেমে গেলে চলবে না। লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে চলতে হবে যতক্ষণ না সফল হচ্ছেন।
এই পরামর্শগুলো মেনে চললে পড়াশোনা এবং চাকরির মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে নিজের কেরিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সফলতার মূল মন্ত্র ধৈর্য, পরিকল্পনা, এবং কঠোর পরিশ্রম।