পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায় সম্প্রতি এক বাংলাদেশি হিন্দু যুবক পবিত্র মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন, যিনি জাল নথি দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। পবিত্র মণ্ডল, যিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে এসেছিলেন, এখানে এসে নিজের বাবা-মাকে ভারতে আনতে চেয়েছিলেন। তবে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে গিয়ে তিনি ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট ব্যবহার করেন, যা পরে পুলিশের সন্দেহের মুখে পড়ে।
পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, পবিত্র মণ্ডল প্রায় ৩ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন। তিনি কালনার কৃষ্ণদেবপুর এলাকায় বসবাস করছিলেন। সদ্য ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিল পবিত্র, কিন্তু পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময় তার জমা দেওয়া কালনার পুরসভার জন্ম শংসাপত্রের মধ্যে সন্দেহজনক কিছু দেখতে পায় পুলিশ। পরবর্তীতে তদন্ত করে জানা যায়, সেই শংসাপত্রটি ছিল জাল।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন সাইবার ক্যাফে মালিকও গ্রেফতার হয়েছেন, যার নাম মহম্মদ আজহারুল ইসলাম। কালনার গোয়ারা এলাকার বাসিন্দা আজহারুলই পবিত্রকে জাল শংসাপত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। এর পরেই পবিত্র মণ্ডল এবং আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কালনা থানার পুলিশ।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে পবিত্র জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মা এখনও বাংলাদেশে আছেন এবং তিনি তাদের ভারতে আনতে চেয়েছিলেন। এদিকে, জানা গিয়েছে যে পবিত্রের কাছে আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডও ছিল, যা জালিয়াতি করে তৈরি করা হয়েছে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কালনা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ দাবি করেছেন, তাঁর সই ফটোকপি করে জাল শংসাপত্র তৈরি করা হয়েছে এবং পুরসভার কোনও কর্মী এতে জড়িত নয়। কালনা পুরসভার শংসাপত্রে পবিত্র মণ্ডলের জন্ম ২০০৩ সালে লেখা ছিল এবং তাতে সই ছিল দেবপ্রসাদ বাগের।
এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।