বির্তকের অবসান ঘটিয়ে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে বাংলা দিবস ঘোষণা করল। গত সেপ্টেম্বরে রাজ্য বিধানসভায় রাজ্য সঙ্গীত এবং রাজ্য দিবস নিয়ে প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূলের পরিষদীয় দল। প্রস্তাবক হিসাবে নাম ছিল আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুশীল সাহা, বিরবাহা হাঁসদা, সত্যজিৎ বর্মণ, কালীপদ মণ্ডল, বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণ কল্যাণীর। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে স্থির হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি থাকায় নবান্নের পক্ষ থেকে ১ লা বৈশাখ ‘ বাংলা দিবস’ পালনের কথা ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ এবার থেকে রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে ঘোষণা করা হয়। রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠান, কর্মসূচির শুরুতে এক মিনিট ৫৯ সেকেন্ড ধরে গাইতে হবে ‘রাজ্য সঙ্গীত’। শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় প্রকাশ, রাজ্যের গরিমা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘ দিন ধরেই ‘রাজ্য দিবস’ এবং ‘রাজ্য সঙ্গীত’-এর প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে।
READ MORE হোটেলের দোতলার জানলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত পাঁচ বছরের শিশু
সমস্ত রাজ্যের নির্দিষ্ট রাজ্য সঙ্গীত থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গের তা ছিল না। বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটির একটি লাইন ‘বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন’ – এই অংশ নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই অংশের সামান্য পরিবর্তন করে ‘বাংলার ঘরে যত ভাইবোন’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বাঙালির চেয়েও বাংলার আবেগকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভেবেই ওই বদলের কথা উঠেছিল। আমবাঙালির ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে।