ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই অপরাধীদের আইনত দন্ড দেবে। জানুয়ারির শেষে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ভারত সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টটিকেশন এবং ন্যাশানাল ইনভেস্টটিকেশন এজেন্সি (এনআইএ) একটি যৌথ দল। বিভিন্ন আর্থিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য বিদেশে যাচ্ছে এই দল। বিজয় মালিয়া- মদ ব্যবসায়ী ও কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মালিক, নীরব মোদী- হীরা ব্যবসায়ী, সঞ্জয় ভান্ডারি- অস্ত্র ব্যবসায়ী। এই ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। এরা সকলেই ভারতীয় বিচারব্যবস্থার চোখে ফাঁকি দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে। অপরাধের আয়” বাজেয়াপ্ত করার জন্য, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশে তাদের সম্পত্তি সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
2016 সালে অস্ত্র ব্যবসায়ী ভান্ডারী, ইউপিএ শাসনামলে আয়কর দপ্তর এবং ইডি একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তির তদন্ত শুরু করার পরেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। ইডি তথ্য অনুযায়ী, ভান্ডারি, লন্ডন এবং দুবাইতে সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছিলেন। সঞ্জয় ভান্ডারিও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে অভিযোগ রয়েছে।
নীরব মোদী ৬,৫০০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রবর্তক বিজয় মাল্য , তার বন্ধ থাকা Kingfisher Airlines-এর সাথে জড়িত ₹ 9,000 কোটির একটি ব্যাঙ্ক ঋণ খেলাপি মামলায় অভিযুক্ত। 2015-16 সালে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সে 330 কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছিলেন যদিও তার কিংফিশার এয়ারলাইন্স সেই সময়ে থেকেই সংকটজনক পরিস্থিতিতে ছিল। যদিও এই তিনজনের সম্পত্তি ভারত সরকার বাজেয়াপ্ত করেছে।
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দলটি অপরাধীদের দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য অপরাধীদের লন্ডনের সম্পদ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহও করবেন। এই দলটি ব্রিটেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসাবে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশন। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই অপরাধীদের আইনত দন্ড দেবে।