করোনা অতিমারির পাঁচ বছর বাদে চিনা ভাইরাস HMPV (Human Metapneumovirus) ভারতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মালয়েশিয়া এবং হংকংয়ের পর এখন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও এর প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। HMPV ভাইরাসের উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ ভাব এবং দমবন্ধের মত পরিস্থিতি, যা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
বর্তমানে, HMPV ভাইরাস টেস্ট করার খরচ নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভারতের অনেক জায়গায় এই ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় রোগীরা ভারী খরচের মুখে পড়ছেন। মুম্বাই এবং বেঙ্গালুরু ছাড়া অধিকাংশ জায়গায় এই পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। একটিভ টেস্টের খরচ ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, যা বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে বহনযোগ্য নয়।
চিন্তা বাড়াচ্ছে HMPV ভাইরাসের বৃদ্ধি:
বিশ্বব্যাপী HMPV ভাইরাস বর্তমানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষত, বয়স্ক ব্যক্তি এবং শিশুদের মধ্যে এর প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। हाल ही में, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্ত এক শিশুর দেহে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (AKI) দেখা গেছে, যা ভাইরাসটির আরও বিপজ্জনক প্রকৃতি তুলে ধরে।
এই ভাইরাস মূলত শ্বাসনালী এবং কিডনির উপর প্রভাব ফেলতে পারে, ফলে চিকিৎসকরা এর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। বর্তমানে, ভারতে HMPV ভাইরাস এর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১-র বেশি পৌঁছেছে, এবং এটি ক্রমেই বেঙ্গালুরু, কেরল, গুজরাত সহ মুম্বাইয়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
টেস্টের খরচ নিয়ে উদ্বেগ:
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, HMPV ভাইরাস এর টেস্ট করানোর জন্য যা খরচ হচ্ছে তা বেশ ভারী। পশ্চিমবঙ্গের কোথাও এই টেস্টের ব্যবস্থা নেই, শুধুমাত্র বেঙ্গালুরু এবং মুম্বাই-তে এর টেস্ট করা হচ্ছে। যদিও সরকারিভাবে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলে সাধারণ মানুষ আরও সুবিধা পেতেন। ডাঃ সুমিত গাঙ্গুলী, আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জানিয়েছেন, “করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারার পর এই ভাইরাসের মোকাবিলা করতেও আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সরকার যদি টেস্টের ব্যবস্থা সরকারি ভাবে করে, তবে চিকিৎসা করা অনেক সহজ হবে।”
HMPV ভাইরাস ও চিকিৎসার সম্ভাবনা:
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, HMPV ভাইরাস সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত বিস্তার ঘটাচ্ছে, এবং যদি সরকারী উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে, এই ভাইরাসের পরীক্ষা বেসরকারিভাবে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, যা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই উচ্চমূল্য।
চিকিৎসকরা একযোগে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন, যাতে HMPV ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা সরকারি উদ্যোগে করা হয়। এটি মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।