কলকাতা পুলিশের আধার কার্ড পেমেন্ট সিস্টেম ASAP জালিয়াতি অভিযানে গ্রেফতার হল ৫ সদস্য। সূত্রের খবর অনুসারে দলটি লেনদেন করার মত পরিচয় পত্র এবং আর্থিক বিবরণ চুরি করেছে, এছাড়াও চাল করার অভিযোগ রয়েছে এই দলের বিরুদ্ধে।
বুধবার. 46-বছর-বয়সী তুষার কান্তি মুখার্জির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই দলটির সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, দায়ের করা অভিযোগে পরিচয় চুরি এবং আর্থিক জালিয়াতির একটি মামলা করেছেন।
কলকাতা পুলিশে দেওয়া অভিযোগ অনুসারে, একজন প্রতারক চক্র মিথ্যা ভাবে নিজেকে ব্যাংক অধিকারী বা হোল্ডার বোলে পরিচয় দিয়ে, আধার কার্ড নম্বর এবং ব্যাংক একাউন্টের বিভিন্ন বিবরণ সহ গোপনীয় তথ্য নেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
চক্রটি আর ও এক ধাপ এগিয়ে আধার কার্ড পেমেন্ট সিস্টেমের আঙুলের ছাদ জালিয়াতি করা চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন, আরো জানা গেছে প্রতারকরা অভিযোগকারী মুখার্জির কাছ থেকে চুরি করা ইলেকট্রনিক ডাটা ব্যবহার করে প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ টাকা হাতিয়ে নেয়।
পুলিশে অভিযোগ জমা করার পর পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি দল এই আধার কার্ড লেনদেনের চালিয়াতি ঘটনার সম্পর্কিত সকল তথ্য ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছে, পুলিশকর্তাদের মধ্যে তারা জানতে পেরেছেন যে একদল অপরাধী ইসলামপুর এবং বিহারের থেকে এসব কাজ গুলি করছিল।
পুলিশ কর্মকর্তারা সন্দেহ বাচন ভাবে কিছু এলাকায় অভিযান শুরু করে যার ফলে দুই প্রধান সংক্ষিপ্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। এই দুই ব্যক্তির নাম মোক্তার আলম এবং রওশন আলী, পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে এই দুই ব্যক্তির নামে আরো মামলা রয়েছে একই ভাবে জালিয়াতি করার বিরুদ্ধে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদে অতিরিক্ত সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে পুলিশদের কাছে খবর আসে। ইনপুটগুলির ভিত্তিতে আরও অভিযান চালায় একদল পুলিশকর্মী ইসলামপুরের একটি হোটেল থেকে 29 বছর বয়সী মুশা আলম, 26 বছর বয়সী নওশাদ হায়াত এবং পসিরুল আলম সহ আরও 3 জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের তল্লাশি অভিযানের সময়, গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র এবং আরো অনেক ইলেকট্রনিক্স ডেটা একত্রিত করেছে, সেই নথি গুলোর মধ্যে আধার নম্বরের সাথে মিলে যাওয়া প্রস্তুত ক্লোন করা আঙ্গুলের ছাপ, আধার কার্ডের ফটোকপি, একটি সিএসপি দলিল এবং ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড রয়েছে৷ ৫ অভিযুক্তকে লালবাজারে এনে আদালতে পেশ করা হয়। মামলার অধিকতর তদন্ত চলছে।