বাঁকুড়া: বাংলা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকাগুলোর উন্নয়নে নতুন রেলপথ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। বাঁকুড়া জেলা, বিশেষত বিষ্ণুপুর, দুর্গাপুর, এবং বেলিয়াতোড় রেলপথ সংযোগের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সম্প্রতি ভারতের মাননীয় রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাঁকুড়া জেলার জন্য নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের মধ্যে এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে এবং রেলমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
নতুন রেলপথের গুরুত্ব
বাঁকুড়া জেলা এবং তার আশপাশের জঙ্গলমহল এলাকায় যে উন্নয়ন কাজগুলো চলছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত রেলপথ সংযোগ স্থাপন। এই রেলপথ তৈরির মাধ্যমে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের সংযোগ বৃদ্ধি পাবে, ফলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। বাঁকুড়া জেলার মানুষজনের জন্য যাতায়াতের সুবিধা অনেকটাই বাড়বে। বিশেষ করে দূরদূরান্তের অঞ্চলের মানুষদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হবে।
সৌমিত্র খাঁ’র বার্তা
সৌমিত্র খাঁ বলেন, “নতুন বছরে বাঁকুড়া জেলায় একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। আমি আবারও রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, এবং বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। রেলমন্ত্রী এই প্রকল্পটি নিয়ে আশাবাদী। ২০১৪ সালে যখন আমি প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলাম, তখন বাঁকুড়া জেলার জন্য মাত্র একটি রেলপথ ছিল, তবে আজকে বিষ্ণুপুর থেকে হাওড়া, বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া, এবং এখন নতুন রেলপথ— বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুর—এই সব উন্নয়নের প্রতীক।”
মন্ত্রীদের উদার মনোভাব
তিনি আরও বলেন, “গত সপ্তাহে বিষ্ণুপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, এবং ১৭ জানুয়ারি চূড়ান্ত সমীক্ষা করা হবে। আমাদের এলাকা তথা বাঁকুড়া জেলার জন্য যে উন্নয়ন কাজ চলছে, তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি এবং রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাদের সহায়তায় এই উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে।”
রেলপথের সুবিধা
যদি এই নতুন রেলপথ নির্মিত হয়, তাহলে শুধু বাঁকুড়া জেলাতেই নয়, গোটা জঙ্গলমহলের মানুষের যাতায়াত আরও দ্রুত ও সহজ হবে। এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য শহরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে। রেলপথের সংযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
এখন দেখা যাক, আগামী কেন্দ্রীয় বাজেটে এই রেলপথ প্রকল্পটি নিয়ে কোনো ঘোষণা আসে কিনা, কারণ পূর্ব রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা ইতিমধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।