প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়! জানালেন পর্ষদ সভাপতি

এখনই কাউকে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব নয়, সাফ জানালেন প্রাইমারি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ,শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে বসিয়ে । ওনার বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পর্ষদ সভাপতি জানান, সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র না দিলে ভবিষ্যতের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।

প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ার জন্য তিনি ঘুরিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের দিকেই আঙুল তোলেন। পর্ষদ সভাপতি এই বক্তব্যের পর হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা।

গত বছর প্রায় সাড়ে ১১ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আশায় খুশি হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।

মাসখানেক আগে সেই নিয়োগের ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পরই একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। এর ফলেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া থামিয়ে দিতে বাধ্য হয় ।

সেই প্রসঙ্গ টেনেই চাকরিপ্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছেন মন্তব্য করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।২০১৭ সালের টেট পাশরা এসে বলছেন,২০১৪-দের বাদ দিয়ে আমাদের চাকরি দিন, আবার ২০১৪ সালের টেট পাশরা এসে বলছেন, ২০১৭ সালকে বাদ দিন স্যার। এই নিয়ে ওরা একে অপরের বিরুদ্ধে আদালতেও চলে গিয়েছে। এই সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাউকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।

অনেকেই সভাপতি গৌতম পাল যা বলেছেন তার কথাকে আযুক্তিক বলেননি । সত্যিই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া এই মুহূর্তে আদালতের আওতাধীন। সেখান থেকে ছাড়পত্র না এলে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে।

ক্ষিপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ মনে করছেন, গোড়া থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যদি নজরে রাখতেন তবে এতো জটিলতা দেখা দিত না। তবে গোটা বিষয়টি থেকে পর্ষদ সভাপতি যেভাবে নিজের হাত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন তার সমালোচনা শুরু হয়েছে।

তবে গোটা ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষার পর তাঁরা পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন মামলার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ায় তাঁরা চূড়ান্ত হতাশ।

এদিকে তারা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন যে বয়স বেড়ে গেলে আর প্রাথমিক শিক্ষক হওয়া সম্ভব হবেনা তাদের এ নিয়েও অনেক প্রশ্ন বাসা বেঁধেছে তাদের মনে। সম্প্রতি পর্ষদ সভাপতির এই মন্তব্য সেই হতাশা আরও বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল।