স্কুল ড্রেস নিয়ে রাজ্যের সব School এ মানতে হবে এই নতুন নিয়ম !

রাজ্যের স্কুলগুলোকে নিয়ে রাজ্য সরকার নিলেন বড় সিদ্ধান্ত । শুরু হতে চলেছে প্রত্যেক স্কুল এর ড্রেস এর এক নতুন নিয়ম বাংলায়।এই বিষয়ে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। তবে জানা গেছে সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি স্কুলগুলির পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পোশাক দেওয়া হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হতে এই পোশাক তৈরির কাজ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে পোশাক বিতরণের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাকের রং হবে নীল-সাদা । একই রঙের পোশাক পরতে হবে সব পড়ুয়াকে। এবং দুর্গাপুজোর ছুটির পর স্কুল খুললেই সকল পড়ুয়াকে নতুন পোশাক পরেই স্কুলে আসতে হবে। এই নিয়ে বহু জায়গায় স্কুল পড়ুয়ারা বিক্ষোভ‌ও দেখায়। কিন্তু রাজ্য সরকারের ঘোষণার বদল হবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে মমতা সরকার।

Read Also: সেরা তিন স্কলারশিপ! পড়ুয়ারা পাবেন হাজার হাজার টাকা

ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে মালদহের একটি স্কুলের পড়ুয়াদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলার স্কুলগুলিতে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পোশাক দেওয়ার কাজ সম্পণ্য করা হবে।

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে একই ধরনের স্কুল পোশাক নিয়ে বিতর্ক এর দানা বেঁধেছে। গতবছর এই বিষয় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ক্রিয়াকলাপ দেখা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি তারা বিষয়টি নিয়ে উঠে পড়ে লাগায় ফের বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।

রাজ্যের সকল স্কুল পড়ুয়াদের জন্য একই রঙের পোশাক এর ব্যাপারে সরকারকে সমর্থন করেছেন অনেকেই। তবে বেশিরভাগ শিক্ষাবিদ, শিক্ষকদের মতে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন।

রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুল পড়ুয়াও রাজ্য সরকারের নীল-সাদা পোশাক পরতে রাজি নয় নিজেদের স্কুলের পোশাক ছেড়ে । স্কুল পড়ুয়াদের এই নানান মতভেদ এর কারণে বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন । তাঁদের বক্তব্য, এই রাজ্যে ঐতিহাসিক স্কুল আছে গোটা দেশ এ বাংলায় যেহেতু শিক্ষার চল আগে থেকে শুরু হয়েছিল তাই যাদের নিজস্ব রঙের পোশাক পরিচ্ছদের উপর স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে । এই রং নির্বাচনে খুশি নয়। এক একটি স্কুলের নিজস্ব ঐতিহ্য বজায় রেখেছে তাদের স্কুল পোশাকের রঙে।তাই তারা সেই আগের পোশাক ই চায়।

কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এক বড় গোলযোগ তৈরির আশঙ্কা করছেন অনেকে ।