শীতের সকালে যখন কলকাতাবাসী ঘুমোচ্ছিলেন, তখনই আচমকাই কেঁপে উঠল ভূমি। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে, ৭ জানুয়ারি ভোরে তিব্বতে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এদিন সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে তিব্বতে ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.১।
ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, চীন এবং নেপালেও। প্রথম কম্পনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, কিছুক্ষণ পর ফের কম্পন অনুভূত হয়। ৭টা ২ মিনিটে দ্বিতীয় কম্পন অনুভূত হয়, এর তীব্রতা ছিল ৪.৭। এরপর মাত্র ৫ মিনিট পর ৭টা ৭ মিনিটে তৃতীয় কম্পন আসে, যার তীব্রতা ছিল ৪.৯। পরে একাধিক আফটারশক অনুভূত হয়, যার মধ্যে একটি ছিল ৫ তীব্রতা।
রিপোর্টে জানা যায়, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপালের গোকর্ণেশ্বর থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং তিব্বতের শিগাতসে থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার, এবং তৃতীয় কম্পনের উৎসস্থল ছিল ৩০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের পর আফটারশক অনুভূত হয় বিহারের মধুবনী জেলাতে, এছাড়াও উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর এবং দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনাতে অনুভূত হয়। এছাড়াও বিহার, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। কলকাতা শহরেও বহু মানুষ ভূমিকম্প অনুভব করেছেন এবং আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
যদিও প্রাথমিকভাবে কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভূমিকম্পের পর সবার মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লিতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এবং পরবর্তী আফটারশকের কারণে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এই ভূমিকম্পের পর এলাকাবাসী সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন, যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।