গঙ্গাসাগরের মেলাকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিকে ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সোমবার গঙ্গাসাগরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও দফতরের সচিব প্রভাতকুমার মিশ্র, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। শনিবার সাগরে আসেন মন্ত্রীরা তাঁরা সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
সোমবার দুপুরে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরে এসে পৌঁছাবেন। তিনি সেখানে পৌঁছে পুজো দেবেন কপিলমুনির মন্দিরে। সেখান থেকে যাবেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যালয়ে। সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মাধ্যমে পাথরপ্রতিমা ও নামখানা ব্লকে দু’টি সেতুর উদ্বোধন করবেন। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত থাকবেন সেই আলোচনায়। কাকদ্বীপের লট-৮, কচুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ড, বেনুবন লঞ্চ ঘাট, গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজ়িংয়ের কাজ কেমন চলছে, তা-ও ঘুরে দেখেন আধিকারিকরা।
গঙ্গাসাগর মেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘QR কোড’-ও চালু করা হচ্ছে। এই ‘কিউআর কোড’ মোবাইলে স্ক্যান করে পুণ্যার্থীরা পানীয় জল, শৌচালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাসস্ট্যান্ড, জেটি ঘাট-সহ বিভিন্ন পরিষেবার ব্যাপারে তথ্য পেয়ে যাবেন। মেলায় করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলেও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
Read Also: আদিত্য এল ১-এর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সারা দেশ
সেচমন্ত্রী বলেন, “শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি ঘুরে দেখলাম। মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজ়িয়ের কাজ আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আশা করছি, মেলার সময়ে ১৫-২০ ঘণ্টা ভেসেল চলাচল করবে।” সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো পুণ্যার্থীদের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা সাগরে এসে পুণ্যস্নান সেরে সুষ্ঠ ভাবে ফিরতে পারেন। প্রস্তুতি প্রায় শেষ।”