রবিঠাকুরের কাবুলিওয়ালার গল্প যেন ছোটবেলার নস্টালজিয়া। মিনির বন্ধু কাবুলিওয়ালা চরিত্রকে সাধারণ মানুষের ফুটিয়ে তুলেছে মিঠুন চক্রবর্তী। রবি ঠাকুরের গল্পে থাকা রহমতের চরিত্রে সারল্য ফুটিয়ে তুলেছে মিঠুন। হিন্দি বাংলা মিশিয়ে বেশ সুন্দর করে অভিনয়কে তুলেছেন তিনি রহমতের চরিত্রটি। শেষ দৃশ্যে যখন ও কাবুলিওয়ালা, কাবুলিওয়ালা বলতে বলতে মিঠুন চলে যাচ্ছেন মিনির বাড়ি থেকে তখন কান্না চাপা দর্শকদের পক্ষে খুবই কষ্ট। রাগ, আনন্দ, মজা, যন্ত্রণা সবটা যথাযথ ভাবে মেপে মেপেই যেন মহাগুরু এই ছবিতে দিয়েছেন। একই সঙ্গে সাক্ষাৎকারে যে বলেছিলেন ‘এই ছবি বোঝাবে মানব ধর্ম সবার উপরে’ সেটা কাঁটায় কাঁটায় তাঁরা সকলে মিলে প্রমাণ করে দিলেন।
READ MORE শীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোনা সহ রুপো-প্ল্যাটিনামের দর
কাবুলিওয়ালা সিনেমার পরিচালক সুমন ঘোষ। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুমেঘা কাহালি, আবির চট্টোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার। ৮০-৯০ দশকের ছেলেমেয়ে তাঁদের এক টুকরো ছেলেবেলা ফিরিয়ে দিলেন পরিচালক। সকল বাঙালির অতি পরিচিত কাবুলিওয়ালার উপর ভিত্তি করেই বানানো হয়েছে এই ছবিটি। তবে কিছু জায়গায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। অনুমেঘা বাস্তবে যেমন, পর্দাতেও তেমন। পরিচালক সত্যিই ওর স্বতঃস্ফূর্ত ভাবটা এখানে বজায় রেখেছেন। সেই দুরন্তপনা, সেই সারল্য, মজা, হাসি আনন্দ একে নিখুঁত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের কণ্ঠে ‘ও হে কাবুল মানুষ’ গানটি অনবদ্য। ছবির পরিস্থিতির সঙ্গে গানের কথা, ভিজ্যুয়াল ভীষণ ভালো লেগেছে। ‘খুশি কী ইদ’ তো ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়েছে। শেষে অরিজিৎ সিংয়ের গানটি ছোটবেলার অনেক স্মৃতি ফিরিয়ে দিল।একাধিক দৃশ্য যেমন হাসাবে, যেমন মিঠুন অনুমেঘার নাচ বা তাঁদের কথোপকথন; তেমনই একাধিক দৃশ্য কাঁদাবেও বটে। এই অস্থির সময়ে এই ছবি এক দারুণ বার্তা দেবে সমাজকে।