গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম টেট আবেদনকারীর সংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ১১ হাজার শূন্যপদের জন্য আবেদন করেছিলেন ৭ লক্ষ প্রার্থী। কিন্তু এক বছর পরই বদলে গেল ছবিটা। বছরের পর বছর চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসছে ধর্নায়।এই অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০২১ সালে এনআরএস-এ ডোমের চাকরিতে ৬ টি শূন্যপদের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ৬ হাজারের বেশি। আবেদন করেছিলেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর থেকে ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রিধারীরাও।
২০২২ সালের প্রাথমিক টেট হয় প্রায় ৫ বছর পর। তাই আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি ছিল। আর সেই পরীক্ষার ঠিক এক বছর পর আবারও টেট নেওয়া হচ্ছে। সে কারণে আবেদনকারীর সংখ্যা কম হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ২০১৪ বা ২০১৭ সালে টেট পাশ করেও অনেকেই চাকরি না পেয়ে রাস্তায় বলে আন্দোলন করছেন।
Read also: মাধ্যমিক পাশে হেল্পার নিয়োগ
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল অবশ্য এই সব যুক্তি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “চাকরি একটা পদ্ধতির মাধ্যমে হয় আর টেট একটা আলাদা পদ্ধতি।” তিনি উল্লেখ করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রায় দিয়েছে বিএড ডিগ্রিকে প্রাথমিক নিয়োগের যোগ্যতা হিসেবে ধরা হবে না। শুধুমাত্র ডিএলএড ট্রেনিং থাকলে তবেই আবেদন করতে পারবেন না। ওই কারণেই সম্ভবত সংখ্যা কমেছে বলে মনে করছেন তিনি।