রেশন দুর্নীতি কান্ডে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বনগাঁর তৃনমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার পর তার স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য দাবি করেন, পরিকল্পনা মাফিক তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকাল বেলায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন শঙ্কর আঢ্যের স্ত্রী ও মেয়ে। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়। কেন্দ্রীয় তদন্দকারী সংস্থা ইডি আধিকারিকরা তখনও এসে পৌঁছায়নি।
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে শঙ্কর আঢ্যর স্ত্রী দাবি করেন, ইডির এক অফিসার গ্রেফতারের আগে শঙ্করবাবুকে বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নাকি তাঁর নাম নিয়েছেন। শঙ্কর বাবুর স্ত্রী জ্যোৎস্না দেবী দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সাথে অন্যদের মতো সম্পর্ক ছিল । রাজনৈতিক দিক অর্থাৎ জেলার উন্নয়ন নিয়ে কথাবার্তা হত।রেশন দুর্নীতির সঙ্গে শঙ্করের কোনও যোগাযোগ নেই। শঙ্করের স্ত্রীর অভিযোগ, ইডি-র আধিকারিকরা তাঁর স্বামীর সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত কথাই বলেন।
শঙ্কর কন্যা বলেন, “অবশ্যই চক্রান্ত, রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। কোনও লেনদেন নেই বাবার সঙ্গে। আইনের কাছে আবেদন যেন সঠিকভাবে বিচার হয়।” এই ঘটনাটা সম্পূর্ণ চক্রান্ত করে হয়েছে। তাঁর কথায়, “কে চক্রান্ত করেছে বলতে পারছি না, তদন্ত যত এগোবে জবাব দিয়ে দেব।” তবে এটাও তিনি বলেছেন, ” টাকা যেটা উদ্ধার হয়েছে, সেটা একজন সাধারণ মানুষের বাড়িতে থাকতেই পারে।”
Read Also: গেরুয়া শিবিরে যোগ একশো পরিবারের
ইডি সূত্রে খবর, শঙ্করের একাধিক সংস্থা রয়েছে। রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাঁর পরিবার একাধিক বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। রয়েছে অর্থলগ্নি সংস্থাও।