বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটি ইউজার রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের। এই অ্যাপের মালিক মার্কিন টেক জায়েন্ট মেটা। যাদের অধীনে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়াও রয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং থ্রেডসের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন। ফেসবুকের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় হোয়াটসঅ্যাপ। কারণ এতে শুধু টেক্সট মেসেজ নয়, করা যায় ভয়েস কল ও ভিডিয়ো কলও।
সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে এই বিপুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে এই হোয়াটসঅ্যাপ সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। একদিকে যেখানে মানুষের দিন শুরু হয় হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে, সেখানে অ্যাপটি সম্পর্কে কিছু জানেনই না এই ৫ দেশের মানুষ।
চিন ফেসবুকের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপও নিষিদ্ধ চিনে। মার্কিন সংস্থার এই মেসেজিং অ্যাপ চলে না চিনে। কঠোর নিরাপত্তার কারণে এই দেশের মানুষেরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন না। যদিও বেশ কিছু বিকল্প উপায় যেমন VPN এর মাধ্যমে অ্যাপ টি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এই দেশে হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য উপলব্ধ নেই। হোয়াটসঅ্যাপের বদলে চিনের নাগরিকেরা তাদের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ WeChat ব্যবহার করে।
ইরান দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি এবং প্রতিবাদের কারণে ইরান সরকার হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। এই দেশের সরকার মনে করে মেটা মালিকাধীন এই হোয়াটসঅ্যাপ একটি ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্রের অংশ। যে কারণে এই দেশে কোথাও চলে না এই মেসেজিং অ্যাপ।
Read More নৈহাটির বড় মায়ের মন্দিরে পুজো দিলেন অভিষেক
উত্তর কোরিয়া এই দেশের সরকারের তরফ থেকে খুবই কঠোর ভাবে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কয়েকজন সরকারি আধিকারিকদের কাছেই ইন্টারনেট ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবে তা ভাবাটাই বোকামি। শুধু হোয়াটসঅ্যাপ নয়, সমস্ত বিদেশি অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়াতে।
সিরিয়া 2011 সাল থেকে গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত একটি দেশ সিরিয়া। যার ফলে সমস্ত যোগাযোগ এবং তথ্য-প্রচারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছে সিরিয়ার সরকার। এই দেশের মানুষদের কাছে কোনও মার্কিন অ্যাপ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। যার মধ্যে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই দেশের সরকার মনে করে, এই অ্যাপ বিদ্রোহীদের কাছে যোগাযোগের একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
তুর্কি পর্যটনের জন্য বেশ পরিচিত একটি দেশ তুর্কি। প্রতি বছর এই দেশে লাখ লাখ মানুষ আসেন ঘুরতে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই দেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ফেসবুক, ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপ। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ নিয়ে ভীষণ কড়াকড়ি এই দেশের সরকার। ভুল তথ্য এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য আইনের প্রস্তাব করে দেশের নেতারা। এমনকী অ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবহারকারীদের ডেটাও চেয়েছিল তুর্কি। কিন্তু এই ডেটা দেবে না বলে জানিয়ে দেয় হোয়াটসঅ্যাপ।
