বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির দিয়ে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন নয়, জেলেই থাকতে চান। আদালতে হাজিরা দিয়ে এমনই আবেদন করলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এদিন পায়ে ব্যথার জন্য আদালতে এসেও এজলাসে হাজির হতে পারেননি পার্থ। পুজোর ছুটির পর আজ আদালতের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রেসিডেন্সি জেল থেকে পার্থকে আদালতের লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি তাঁর আইনজীবী মারফৎ বিচারকের কাছে আবেদন করেন, তাঁর ২টো পা ফুলেছে সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় এজলাসে যেতে পারবেন না তিনি। পার্থর বয়সের কথা মাথায় রেখে এই আবেদন মঞ্জুর করেন। কোর্ট অফিসারকে বিচারক প্রশ্ন করেন পার্থকে কোর্ট লক আপ থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা সম্ভব কি না। কোর্ট অফিসার বলেন, লক আপের ইন্টারনেট সংযোগের স্পিড খুব কম। তাই সমস্যা হতে পারে। এর পর ভিডিয়ো কলে পার্থকে এজলাসে হাজির করানো হয়।
READ MORE পোস্ট অফিসের MIS-এ ৯ লাখ টাকা রাখলে প্রতি মাসে কত রিটার্ন পাবেন, আসুন জানি
বিচারককে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পায়ে জল জমছে। পা ফুলে গিয়েছে। হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। আমার ঠিক করে ফিজিওথেরাপি করানো দরকার। তাছাড়া কিডনির সমস্যার সমাধানের জন্য ভালো চিকিৎসা দরকার। তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, তিনি কি জেলের বাইরে চিকিৎসা করাতে চাইছেন। পার্থ বলেন, না জেলে চিকিৎসা হলেও তাঁর আপত্তি নেই। এদিনও জামিনের আবেদন করেননি পার্থ, তাঁকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।