জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে পারবে সিপিএম। অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত এও জানিয়েছে, দলের মোট চারজন যেতে পারবেন ত্রাণ নিয়ে। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন চার পুলিশ আধিকারিক। জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের মৃত্যুর পর সিপিএম-কে কাঠগড়ায় তুলে গোটা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পালিয়ে গিয়ে প্রাণটুকু রক্ষা করতে পেরেছিলেন গ্রামবাসী। এরপর সেখানে সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা ত্রাণ নিয়ে যেতে চাইলে দু’বার পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী তথা সিপিআইএম নেতা সায়ন ব্যানার্জি। তিনি জানান, দলুয়াখাকি গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি নেই। তারপরেও কেন বার বার তাঁদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে? গ্রামের মানুষদের বাড়ির সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই কারণেই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করতে চাইছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ অযৌক্তিকভাবে বাধাদান করছে।
সোমবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ৫ জনকে নিয়ে ওই গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন সায়ন ব্যানার্জি। ত্রাণ সামগ্রী বিলি করার আগে জয়নগর থানাকে জানিয়ে যেতে হবে। গ্রামে গিয়ে কোনো রাজননৈতিক প্ররোচনা মূলক বক্তব্য রাখা যাবে না। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে পুলিশ।
Read More খুন ও ধর্ষণের হুমকি বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক হেডের স্ত্রীকে
সায়ন ব্যানার্জি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘জয়নগরের বামনগাছিতে দলুয়াখাকি গ্রামে প্রবেশের এবং ত্রাণ সামগ্রী বিলির অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এছাড়া ১৪ নভেম্বর SDPO-র উপস্থিতিতে কীভাবে মহিলা পুলিশ ছাড়াই ৩৩ জন মহিলা গ্রামবাসীকে পুলিশ আটকালো তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন SP Baruipur police district-র কাছ থেকে’।
শুধু মাত্র সিপিআইএম নয়, কংগ্রেস ও এসএফআই ত্রাণ নিয়ে গ্রামে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এমনকি সোমবার সকালে অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দলুয়াখাকি গ্রামে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। বহিরাগত তকমা দিয়ে সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় অম্বিকেশ মহাপাত্রদের। এর ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিশিষ্টরা।