এক দলিত মহিলাকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ধূপগুড়িতে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ওই মহিলা সাহস করে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরের বিবরণে জানা গেছে, দলিত পরিবারের ওই মহিলা স্বামী মারা যাওয়ার পর বাড়িতে একাই থাকতেন। বুধবার সন্ধ্যায় মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এমনকি বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও ওই মহিলা দুষ্কৃতীদের হুমকি উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
READ MORE আড়াই লক্ষ গ্রামীণ ডাক সেবক ধর্মঘটে
অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। আরেক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশের থেকে জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আইনি পদক্ষেপ নিতে শুরু করছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। এদিন অভিযুক্তদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদিবাসী সংগঠনের নেতা জয়প্রফুল লাকরা, বলেন, “এক আদিবাসী মহিলাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে”। ঘটনা প্রসঙ্গে সি পি আই (এম) জেলা কমিটির সদস্য মুকুলেশ রায় সরকার বলেন,” তৃণমূলের আমলে দলিত আদিবাসীসহ মহিলা, কিশোরী, শিশুকন্যা কেউ নিরাপদে নেই। ধূপগুড়ি থানা এলাকায় গত এক দশকে অনেকগুলি ঘটনা ঘটে গেল। আমরা এই নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায় বিচার চাইব”।