শীতকাল পড়া মানেই ত্বকের হাজার রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। এমনকি ত্বকের জেল্লাও যেন ক্রমশ ফিকে হয়ে আসে, সেই সঙ্গে ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ-শুষ্ক। তাই শীতকালে বিশেষ করে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শিশুদের ত্বক খুব কোমল এবং কোমল হয়। এমতাবস্থায় প্রথম কয়েক বছর এবং বিশেষ করে শীতের মৌসুমে শিশুদের ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী এবং এই ঋতুতে বাইরের ঠাণ্ডা এবং ঘরের ভেতরে গরম শুধু স্বাস্থ্যেরই নয় ত্বকেরও ক্ষতি করে। তার জন্য বেশি টাকা খরচ করার দরকার নেই, অল্প খরচে ঘরোয়া কিছু উপাদান দিয়েই ত্বকের যত্ন সম্ভব। এই শীতে বরং ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপকরণে৷ তাতে আপনার ত্বক ভাল থাকবে৷ আবার শীতের শুষ্কতা মোকাবিলায় খরচও কম পড়বে৷
হাফ চামচ মধু, একটা ডিমের কুসুম, এক চামচ শুকনো গুঁড়ো দুধ নিন। এই উপকরণের একটা পেস্ট তৈরি করুন৷ তার পর সারা মুখে মাখুন। ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর জন্যে কাঁচা দুধের ভূমিকা কার্যকরী। কারণ দুধে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে।
পাকা পেঁপেঁর শাঁস নরম করে সারা মুখে মাখুন। এর ফলে আপনার মুখের পুরনো কোষ ঝরে যাবে। ত্বকও অনেকটা নরম হবে।
প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিন। তারপর তার সঙ্গে একটি ভিটামিন E ক্যাপসুলের নির্যাস মেশান।এবার এই দুই উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পরে সামান্য পরিমাণে গোলাপ জল দিন এবং ভালো করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।এই ফেসপ্যাকটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে নিন। তারপর পরিষ্কার জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, সপ্তাহে ১-২ দিন এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যাকনে-সহ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিন হাফ চা চামচ মধু, একটা ডিমের সাদা অংশ, এক চামচ টক দই এবং কিছুটা মুলতানি মাটি। পেস্ট তৈরি করে সারা মুখে সমানভাবে মাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।