আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল না পেয়ে পিএইচই’র বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন ইংরেজবাজার ব্লকের বাগবাড়ি ৫২ বিঘা এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫২ বিঘা সংলগ্ন আশেপাশে এলাকার অসংখ্য বাসিন্দারা জমায়েত হয়ে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল না মেলার বিষয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এদিন ইংরেজবাজার ব্লকের বাগবাড়ি, বাহান্ন বিঘা, গোপালনগর, কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দারা এই বিষয়ে একজোট হয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং পিএইচই দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। এলাকায় ‘জল জীবন জল মিশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে কানেকশন দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক বাড়িতে কানেকশন দেওয়া হয়নি। এলাকার মানুষের কাছ থেকে আধার কার্ড নেওয়া হলেও এখনো বাসিন্দারা জল পাচ্ছে না।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ‘জল জীবন জল মিশন’ প্রকল্পের নিম্নমানের পাইপ এবং সঠিকভাবে কাজ না করে বিল তুলে নিয়েছে একটি ঠিকাদারি সংস্থা। অভিযুক্ত ঠিকাদারি কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তর বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে আবেদন করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীরা। খুব দ্রুত আর্সেনিক মুক্ত জল বাড়িতে চালু করার বিষয়ে এলাকাবাসীরা আবেদন জানিয়েছে।
Read also: বনগাঁ থেকে শঙ্করকে গ্রেফতার করতেই ইডির গাড়িতে ইঁট বর্ষন
এ বিষয় বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজার ব্লকের কাজীগ্রাম পঞ্চায়েতের ৫২ বিঘা এলাকায় মহিলারা হাতে জলের বালতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এলাকার মহিলাদের অভিযোগ, ‘জল জীবন জল মিশন’ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। জলের পাইপ এলাকায় পড়েছে, ট্যাপকল কানেকশন বাড়িতে হয়েছে। কিন্তু প্রায় এক বছর হতে চলল জল পাচ্ছেন না এলাকার মানুষ। সংশ্লিষ্ট পিএইচই দপ্তর এ বিষয়ে কোনো রকম গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা বহুবার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগও জানিয়েছে কাজ হয়নি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জলের কানেকশন প্রতিটি বাড়িতে না আসলে বৃহত্তর আন্দোলনে হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা
কাজীগ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা দীপালি মণ্ডল জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পাইপ পরে রয়েছে। অনেক পাইপ ফেটে গিয়েছে। কিন্তু আর্সেনিকমুক্ত পরিচিত পানীয় জল সরবরাহ বাড়ি বাড়ি চালু হয়নি, বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে। অন্যদিকে ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা শম্পা সেন এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, এলাকার মানুষ আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পাচ্ছেন না। এ বিষয় নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এর আগে জানিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। জেলাশাসক নীতিন সিংগানিয়া জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজখবর নেবেন এবং জল যাতে এলাকার মানুষ পায় সে বিষয়ে পিএইচই দপ্তরকে জানানো হবে।