মঙ্গলবার শিক্ষা দফতরের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্টুডেন্টস উইক’ পালন করতে হবে। জানুয়ারী মাসের ২-৮ জানুয়ারী পালন করতে হবে এই ‘স্টুডেন্টস উইক’। একগুচ্ছ গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। শিক্ষাঙ্গনগুলিতে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে সেই সব প্রকল্পের প্রচার করতে হবে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, ঐক্যশ্রী এবং প্রি অ্যান্ড পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপের মতো প্রকল্পের প্রচার করতে হবে ‘স্টুডেন্টস উইক’-এ।
এছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে পুস্তক বিতরণ ও মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দিতে হবে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে। এই এক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচীতে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালন করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
READ MORE শীতের ভোরে বাইক দুর্ঘটনায় কলকাতায় মৃত দুই
শিক্ষা দফতর সূত্রে সমস্ত জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে সমস্ত শিক্ষাঙ্গনে যাতে এই কর্মসূচি সঠিক ভাবে পালিত হয় সেই বিষয়ে নজর রাখতে। বিশেষ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে এই কর্মসূচি পালনের জন্য। এই কর্মসূচি সফল করতে সব রকম ভাবে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার শিক্ষা আধিকারিকদের।
তবে শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশকে আবার কড়া সমালোচনার মুখে ফেলেছে বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রিয় শৈক্ষিক মহাসংঘের নেতা অনুপম বেরা বলেছেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে দুর্নীতি হয়েছে তার নিরিখে বলতে পারি রাজ্য সরকারের যে কোনও প্রকল্পের প্রচার করা মানে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির প্রচার করা। আর গত বার ভোটের সময়ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই ধরনের প্রচার করেছিল শিক্ষা দফতর। আবার লোকসভা ভোট আসছে বলে, সেই একই ধরনের প্রচার মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের মধ্যে শুরু করিয়েছেন। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই ধরনের প্রচার করা কাম্য নয় বলেই আমরা মনে করি।” আবার বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, “সরকারি কর্মচারীদের ডিএ না দিয়ে সেই অর্থে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি চলছে। তাই আমার মনে হয় রাজ্য সরকারের এই বিষয়টিও তুলে ধরা উচিত যে শিক্ষকদের প্রাপ্য অর্থের বিনিময় এই প্রকল্পগুলো চালানো হচ্ছে।”