১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাদিবস। দল এই একমাসব্যাপী নানা কর্মসূচি নেয়। সেই সঙ্গে দলের পড়ুয়াদেরও সপ্তাহব্যাপী একাধিক কর্মসূচির মধ্যে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বলেন। সেই প্রসঙ্গেই শুক্রবার রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে পড়ুয়াদের কথা সরকার যেভাবে ভেবেছে, তাতে শিক্ষায় কোনও বাধা থাকবে না। এমনভাবে আর কোনও সরকার কখনও ভাবেনি। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠিতে লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, আগামিদিনেও পড়ুয়াদের জন্য নতুন প্রকল্প আনবেন বলে জানিয়েছেন। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহকে ‘পড়ুয়া সপ্তাহ’ বলে পালন করা হয়। সে কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমার ধারণা, আমরা যেভাবে তোমাদের কথা ভেবেছি, সেভাবে আগে কখনও ভাবা হয়নি।’ এর পরই শিক্ষার পথে বাংলার পড়ুয়াদের যাতে কোনও কিছু বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তা নিশ্চিত করতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে কথাও চিঠিতে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
READ MORE ‘বাংলা দিবস’ ও ‘বাংলা সঙ্গীত’ ঘোষণা রাজ্য সরকারের
এই মুহূর্তে ছাত্রছাত্রীরা সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, বিবেকানন্দ মেরিট স্কলারশিপ থেকে শুরু করে স্টাইপেন্ডের মতো পরিষেবা পাচ্ছেন। তার সঙ্গে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। এই সব প্রকল্পের কথা নিজের চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লিখেছেন, ‘এরকম একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি, ভবিষ্যতেও আনব।’ পড়ুয়াদের উদ্দেশে নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায় মমতা আরও লিখেছেন, ‘তোমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে আমরা সবসময় আন্তরিক।’
তিনি আবারও প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “সকলকে সর্বজগৎকে শুভকামনা জানাচ্ছি। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি ‘স্টুডেন্ট উইক’। ১ জানুয়ারি মা-মাটি-মানুষের দলের জন্মদিন। সবাই ভালো থাকুন।” ইতিমধ্যে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহজুড়ে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের সংবর্ধনা জানানোর কর্মসূচি দিয়েছেন দলকে। ক্লাস এইট থেকে টুয়েলভ এবং কলেজের কৃতী পড়ুয়াদের তালিকা এলাকা ধরে ধরে প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রতি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উদ্যোগী হতে হবে। নারীশিক্ষায় রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তার পাশাপাশিই চালু হয়েছে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। এক্ষেত্রে ঋণ নিতে গেলে আলাদা করে কোনও গ্যারান্টারের দরকার হয় না। রাজ্য সরকারই গ্যারান্টার।