লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এবার ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবসের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। যাঁরা ভাল বলতে পারেন, প্রতিষ্ঠা দিবসে তাঁদের আনা হবে। অন্যান্য ইস্যু নিয়ে বলার সময় বিজেপিকে হটানোর ডাক দেওয়া হবে। প্রায় শুরু হয়ে যাবে তৃণমূলের প্রচার। এবার প্রচার হবে মূলত মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন নিয়ে। এছাড়া বিজেপি এই ক’বছর যেভাবে তৃণমূলকে হেনস্থা করেছে, তার বিরুদ্ধে বলা হবে। শুধু তা-ই নয়, প্রায় প্রতিনিয়ত মহিলাদের অপমান করা হয়েছে। এসবই তুলে ধরা হবে রাজনৈতিক বক্তব্যে। গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হবে। দলনেত্রী আগেই বলেছেন, ১ জানুয়ারি আমাদের কাছে আবেগের দিন। ওই দিন নানা কর্মসূচি দল থেকে নেওয়া হয়। দল থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রবীণদের এনে সম্মান জানানোর। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ভাল বক্তৃতা দেন, তাঁদের বলার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড ও ব্লকে সেমিনার, রক্তদান, দুঃস্থদের বস্তুদানের ব্যবস্থা করা হবে। মেট্রোপলিটন তৃণমূল ভবনে পতাকা তুলবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। থাকবেন তাপস রায়, শশী পাঁজা, অলোক দাস প্রমুখ।
১০০ দিনের বকেয়া কাজের টাকা কেন্দ্র এখনও দেয়নি। এবার নির্বাচনী বক্তৃতায় এটাই হবে মূল ইস্যু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সম্প্রতি সাংসদদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যের আধিকারিকরা আলোচনা করবেন। এখনও সে আলোচনা শুরু হয়নি।
read more রেজাল্ট পর্যন্ত রাখতে হবে মাধ্যমিকের ফুটেজ
আবাস যোজনার বকেয়া টাকা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও দিল্লি থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এই ১১ বছরে মমতা ব্যানার্জি যে উন্নয়ন করেছেন, তার ফিরিস্তি নির্বাচনী প্রচারে তুলে ধরা হবে। রাজ্যের প্রাপ্য বহু কোটি টাকা। রাজ্যের বিজেপি নেতারা কোনও কথা বলেননি। তারা চান, কেন্দ্রের টাকা দেওয়া বন্ধ থাকুক। তৃণমূলের এক নেতা জানান, রাজ্য বিজেপির নেতারা বড় বড় কথা বলেন। এরা বাংলায় থেকেও বাংলার অর্থনীতি সম্পর্কে কিছু জানেন না। বাংলায় কত শতাংশ গরিব রয়েছেন, তা-ও তাঁদের অজানা। অপপ্রচার ও কুৎসা ছাড়া তাঁদের কোনও কাজ নেই। তাঁদের কোনও কর্মসূচি নেই। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটাই কাজ, মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক ব্যানার্জির বিরোধিতা করা। নতুন প্রচার তাঁরা শুরু করছেন। সেটি হল, ঘরে ঘরে যাওয়া। তৃণমূল নেতা বলেন, গিয়ে তাঁরা কী বলবেন? উন্নয়ন করতে পারেননি। রাস্তাঘাট করতে পারেননি। ১০০ দিনের বকেয়া কাজের টাকা আনতে পারেননি। শুধু কুৎসা করে গেছেন। এসব ছাড়া তাঁদের বলার কিছু নেই।