আমাদের অনেকেরই এটা জানা নেই যে সঠিক বয়সের আগেই যদি ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।তবে আমাদের শরীরবৃত্তীও নানা পরিবর্তন দেখা যায়।বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়।সাধারণত 45থেকে 50 বছরের মধ্যেই মহিলাদের ঋতুবন্ধ হয়। কিন্তু অনেক সময় থাইরয়েডের কারণে সময়ের অনেক আগেই ঋতুবন্ধ হয়ে যেতে ।
অল্প পরিশ্রম করেই হাঁপিয়ে উঠছেন, ওজন বেড়ে যায় এই ধরনের সমস্যা থাইরয়েডের উপসর্গ। গলা এবং ঘাড়ের সংযোগস্থলে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নির্গত এই হরমোনটি শারীরবৃত্তীয় অনেক কাজই সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। থাইরয়েড হরমোনটির অতিরিক্ত ক্ষরণ বা কম ক্ষরণের প্রভাব পড়ে ঋতুবন্ধের উপর।
রক্তে থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ কমে যাওয়াকে হাইপোথাইরয়েডিজ়ম বলে। তবে কেবলমাত্র এই হরমোনের ক্ষরণ কমে গেলেই ঋতুবন্ধের সময় এগিয়ে আসে না। এ ক্ষেত্রে দায়ী হল ‘অটো ইমিউন থাইরয়েডাইটিস’। এই ‘অটো ইমিউন থাইরয়েডাইটিস’ হলে সন্তানধারণের সময় সমস্যা হয় অনেকের ক্ষেত্রে।যার ফলে মহিলাদের সময়ের আগেই ঋতুবন্ধের ঝুঁকি বাড়ে।
এক্ষেত্রে এ ধরনের থাইরয়েড ডিম্বাশয়ের কোষগুলিকেও নষ্ট করে ।ফলে ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে থাইরয়েড শরীরের একটি অংশ হওয়া সত্ত্বেও এই হরমোনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য শরীর কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডি শরীরে বেশ কিছু থাইরয়েড কোষ নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে থাইরক্সিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। কাদের এই অটো ইমিউন রোগটি হবে, তা আগে থেকে বলা মুশকিল।
35 বছরের পর থেকে মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমা শুরু হয়।সুতরাং যদি এই অটোইমিউন রোগটি হয়, তা হলে ঋতুবন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে এই রোগ সঠিক সময়ে ধরা পড়লে বা ঋতুস্রাবের পরিমাণ কিংবা চক্রে কোনও রকম অস্বাভাবিকতা দেখে সচেতন হলে, পরিস্থিতি কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেই মত চিকিৎসকের।