বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক নাবালিকা পরিচারিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার রাতে ওই দেহ উদ্ধার করে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। ওই নাবালিকার বয়স ষোলো বছর। বছর কয়েক আগে ওই নাবালিকাকে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে নিয়ে এসে পরিচালকার কাজে লাগিয়েছিলেন ওই ফ্ল্যাটের মালিক। বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য পাঠায়। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
লালবাজার পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে “গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে পাখা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের কাছে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের দাবি, সে সময়ে কেউ বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা বাড়ি ফিরে নাবালিকাকে ওই অবস্থায় দেখেন।” এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, নাবালিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে সেই রাতেই তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় এসেছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, ওই নাবালিকার নিজের বলতে কেউ নেই বলেই জানিয়েছেন সেই আত্মীয়। মেয়েটির ছোটবেলাতেই ওই পরিবার তাকে শহরে নিয়ে আসে। তার পরে তার সঙ্গে পরিবারের লোকজন কেমন ব্যবহার করেছেন, তা জানা যায়নি।
READ MORE জেগে উঠেছে মাউন্ট মেরাপি, মৃত ১১
এই ঘটনা নিয়ে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় জানান, ১৪-১৮ বছর বয়সি কাউকে দিয়ে কোনও ঝুঁকিপূর্ণ বা কায়িক পরিশ্রমের কাজ করানো যায় না। তিনি বলেন, ‘‘১৬ বছরের মেয়েকে দিয়ে পরিচারিকার কাজ করানোর কথা নয়। তবে সে ফ্ল্যাটে কী কাজ করত, কাজের মধ্যে বড় পরিশ্রমের ও ঝুঁকির কোনও কাজ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’’