রবিবারের টেট শুধু পরীক্ষা ছিল না পরীক্ষার্থীদের কাছে। পরীক্ষা ছিল কর্তৃপক্ষের কাছেও। কারণ, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি হয়ে উঠেছে মূল্য আলোচ্য। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পরীক্ষা নিয়েও তৈরি হল বিতর্ক। টেট শুরু হয় দুপুর ১২টার সময়। তার এক ঘণ্টার মধ্যেই টেটের প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি বাইরে আসে বলে অভিযোগ।
তবে একথা অস্বীকার করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। তিনি জানান, কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। কিছু অসাধু ব্যক্তিকে বোর্ডকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে পর্ষদ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখারও আশ্বাস দিয়েছে পর্ষদ।
পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এটা হওয়ার কথা নয়, তবু আমরা দেখছি, তদন্ত করব।’ পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার সাংবাদিক বৈঠকে আশ্বাসের সুরে জানান, ‘যখন বিজ্ঞপ্তি হবে তখন আমরা নিয়োগ করব। সরকার শূন্যপদ দিলেই আমরা নিয়োগ শুরু করব।’
READ MORE ভার্চুয়াল উদ্বোধনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা মমতার
তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কথা উঠতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। এদিকে মোটের ওপর সুষ্ঠু পরীক্ষা হলেও কোথাও কোথাও একাধিক সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ হয় টেট শুরুর আগেই। অনেকেরই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যা হয়। পরীক্ষার একঘন্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে না এলে ঢুকতে দেওয়া হবে না, কেন অ্যাডমিট কার্ডে উল্লেখ করা হয়নি প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চেতলা গালর্স হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা।
উত্তেজনা ছড়ায় টাকি বয়েজ গভর্নমেন্ট স্পনসরড হাইস্কুলেও। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হয়। এদিনের টেট সম্পর্কে ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার জানান, মোট আবেদন করেছিলেন ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী, এর মধ্যে ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৬৩৯ জন পরীক্ষা দিয়েছেন।