দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েও স্বস্তি পেলেন না মহুয়া মৈত্র। সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার কারণেই সরকারি বাংলো খালি করে দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মহুয়া গিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খেলেন তিনি। আদালত সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল না। আদালত তাকে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসের কাছে আবেদন করার পরামর্শও দিলেন।
তিনি টাকার বিনিময়ে আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এমন অভিযোগের তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়। তারপর ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস ৭ জানুয়ারির মধ্যে মহুয়াকে 9B টেলিগ্রাফ লেনের সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেয়। ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসের দেয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। তিনি জানান এই মুহূর্তে তিনি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই এই মুহুর্তে তার পক্ষে বাংলো খালি করা সম্ভব নয়।
READ MORE রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে ২০০০ টাকা নোট বদলের কারবার
তার আইনজীবীও বলেন যে সামনেই আছে লোকসভা নির্বাচন যা নিয়ে প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। তাই এই মুহূর্তে তাঁর পক্ষে এখন নতুন বাড়ি খোঁজা অসম্ভব। তাই তিনি আদালতের কাছে অনুরোধ করেন নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সরকারি বাংলোয় থাকতে দেওয়া হোক। এর পাল্টা জবাবে সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সাংসদ পদ খারিজের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। তাহলে কোন যুক্তিতে সরকারি বাংলোয় থাকতে চাইছেন মহুয়া?”